দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য মনোনয়নপত্র ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছেন কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার নওশাদ জমির।

রোববার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করা হয় বলে জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। আগামীকাল এ বিষয়ে শুনানি হতে পারে বলে জানান তাঁরা।

এর আগে রোববার দুপুরে রায়ের কপি পাওয়ার পর আইনজীবীরা এটি নিয়ে হাইকোর্টে আসেন। দ্বৈত আদেশের এ রায়ের কপি মোট দুই পৃষ্ঠা।

এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘খালেদা জিয়া রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাচন কমিশনে ন্যায়বিচার পাননি। তাই তিনি হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছেন। আমরা আশা করছি, উচ্চ আদালতে তিনি ন্যায়বিচার পাবেন।’

কারাবন্দি খালেদা জিয়ার পক্ষে ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ আসনে মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়া হয়। দুটি মামলায় তিনি দণ্ডিত হওয়ায় রিটার্নিং কর্মকর্তারা তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল বলে ঘোষণা করেন। এরপর গত ৫ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার পক্ষে তাঁর আইনজীবীরা রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল আবেদন করেন। গতকাল শুনানির সময় সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত বহাল রাখেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। তারা তিনটি আসনেই খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা অবৈধ ঘোষণা করে।

গতকাল শুনানি শেষে ইসি থেকে বেরিয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচনকালীন আচরণবিধি বা অপরাধের যে ধারায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ বেআইনি। কারান্তরীণ খালেদা জিয়া কীভাবে বিধি লঙ্ঘন করবেন, তার বিরুদ্ধে যুক্তি দেওয়া হয়েছে।’

আজ ৯ ডিসেম্বর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। কাল ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ। আর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৩০ ডিসেম্বর।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/ডিসেম্বর ০৯, ২০১৮)