সহযোগী প্রতিষ্ঠান থেকে ১৬৭ কোটি টাকা লভ্যাংশ পেল ইউনাইটেড পাওয়ার
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : সহযোগী কোম্পানি ইউনাইটেড আশুগঞ্জ এনার্জি লিমিটেডের (ইউএইএল) কাছ থেকে ২০১৭-১৮ হিসাববছরে বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানি ইউনাইটেড পাওয়ার অন্তর্বর্তী ও চূড়ান্ত মিলে ৪১ দশমিক ৭৫ শতাংশ বা ১৬৭ কোটি ১৮ লাখ ৭৪ হাজার ১৬১ টাকা নগদ লভ্যাংশ হিসেবে পেয়েছে। ইউনাইটেড আশুগঞ্জের ৩০ ও ৩১তম পর্ষদ সভায় লভ্যাংশ দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, ২০১৭-১৮ হিসাববছরের চতুর্থ প্রান্তিকে ইউএইএলের পরিচালনা পর্ষদ আট দশমিক ৭৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে, টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ৩৫ কোটি তিন লাখ ৯২ হাজার ৭৮৮ টাকা। ২০১৭-১৮ হিসাববছরের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুসারে, কোম্পানিটি ওই বছর সব মিলিয়ে ৪১ দশমিক ৭৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, টাকার হিসাবে যার পরিমাণ ১৬৭ কোটি ১৮ লাখ ৭৪ হাজার ১৬১ টাকা। এছাড়া চলতি ২০১৮-১৯ হিসাববছরের প্রথম প্রান্তিকে ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ অন্তর্বর্তীকালীন লভ্যাংশ ঘোষণা করে। কোম্পানির প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে এ তথ্য জানা গেছে। ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেল ও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ১৯৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন ইউএইএল কোম্পানির ৯২ দশমিক ৪১ শতাংশ শেয়ারের মালিক। এর ফলে ইউনাইটেড পাওয়ারের মুনাফায় এই লভ্যাংশের অর্থ ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
এদিকে গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ইউনাইটেড পাওয়ার লেনদেনের শীর্ষে উঠে আসে। কোম্পানিটির শেয়ারদর তিন টাকা ৬০ পয়সা বা এক দশমিক ২৩ শতাংশ বাড়ার পাশাপাশি লেনদেন হয় ২৬ কোটি ৮৭ লাখ টাকার। লেনদেন শেষে শেয়ারটির সবশেষ দর হয় ২৯৫ টাকা ৫০ পয়সা। এদিন দুই হাজার ৯১৫ বারে কোম্পানিটির আট লাখ ৯০ হাজার ৯৩৩টি শেয়ার লেনদেন হয়।
সবশেষ প্রকাশিত প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, ইউনাইটেড পাওয়ারের জুলাই-সেপ্টেম্বর, ২০১৮ প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয় তিন টাকা ৭১ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে ইপিএস ছিল দুই টাকা ২৩ পয়সা। ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ শেষে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে ৫৮ টাকা দুই পয়সায়, যা ৩০ জুন, ২০১৮ পর্যন্ত ছিল ৩৪ টাকা।
সবশেষ অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে, কোম্পানির মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ২০ দশমিক শূন্য চার। নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে কোম্পানির মূল্য আয় অনুপাত ২৫ দশমিক ৮৪।
কোম্পানিটি সবশেষ ২০১৮ সালে ৯০ শতাংশ নগদ ও ২০ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ হিসাবে ঘোষণা করে। ওই বছরে কোম্পানির ইপিএস হয় ১১ টাকা ৫১ পয়সা, শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়ায় ৪০ টাকা ৮০ পয়সায়। মুনাফা হয়েছে ৪৫৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। কোম্পানিটি ২০১৭ সালে ৯০ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়।
২০১৫ সালে পুঁজিবাজারে আসা এ ক্যাটেগরির কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৮০০ কোটি টাকা ও পরিশোধিত মূলধন ৪৭৯ কোটি ৯ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ারসংখ্যা ৪৭ কোটি ৯০ লাখ ৮৭ হাজার একটি। রিজার্ভে আছে ৯৪৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। মোট শেয়ারের মধ্যে ৯০ শতাংশ শেয়ার উদ্যোক্তা/পরিচালকদের হাতে, পাঁচ দশমিক ৭৬ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক, দশমিক ১১ শতাংশ বিদেশি ও চার দশমিক ১৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে।
(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/ডিসেম্বর ১০,২০১৮)