দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক :  বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে তাদের দূতাবাস। এছাড়াও দেশীয় ১৫ হাজার পর্যবেক্ষকের অর্থায়ন করবে যুক্তরাষ্ট্র। বলেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার।

আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে সবাইকে সহিংসতা এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোনো রাজনৈতিক দল অথবা প্রার্থীকে সমর্থন করে না। আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং মূল্যবোধকে সমর্থন করি।

মঙ্গলবার বিকেলে আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

নির্বাচনে সকলের শান্তিপূর্ণ আচরণের প্রত্যাশা করে তিনি বলেন: সবাই, রাজনৈতিক দল হোক আর যেই হোক, যেন শান্তিপূর্ণ আচরণ করে। সবাই যেন সহিংসতা থেকে দূরে থাকে। কেননা সহিংসতা গণতন্ত্রের পথে বাধা হিসেবে থাকে। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, সহিংসতা শুধু তাদের উদ্দেশ্য পূর্ণ করে।

রবার্ট মিলার বলেন, আমরা বলেছি, সকল দল যেন অবাধে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার এবং রাজনীতি করার সুযোগ পায়। তারা যেন শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনী প্রচার চালাতে এবং র‌্যালি করার সুযোগ পায়। গণমাধ্যম, বিরোধীদলসমূহ যেন তাদের মত ব্যক্ত করতে পারে।

যুক্তরারেষ্ট্রর রাষ্ট্রদূত বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১০ কোটি ৪০ লাখ বাংলাদেশি (ভোটার) অংশ নেবেন। আমরা সবাই এই নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছি। বাংলাদেশ সরকারের প্রতিশ্রুতি-অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার বিষয়টিকে যুক্তরাষ্ট্র উৎসাহিত করে।

তিনি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন পর্যবেক্ষণ টিমকে সহায়তা করবে ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই)। পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট প্রাক মূলায়ণ দল অক্টোবরে পাঠিয়েছিল এনডিআই। পরবর্তীতে ডিসেম্বরেও এরকম আরও একটি দল পাঠিয়েছিল। এনডিআই এর অংশীদার ‘দি এশিয়ান নেটওয়ার্ক ফর ফ্রি ইকলকশন’। তারা দু’জন আন্তর্জাতিক নির্বাচন বিশেষজ্ঞ নিয়োজিত করেছে এবং স্বল্প মেয়াদী ও দীর্ঘ মেয়াদী ইলেকশন পর্যবেক্ষকও পাঠাবে।

মার্কিন দূতাবাস পৃথক পর্যববেক্ষক দল নিয়োগ করবে সারাদেশে। যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ডের সহযোগিতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ১৫ হাজার স্থানীয় পর্যবেক্ষকের নির্বাচন পর্যাবেক্ষণে অর্থায়ন করবে। যারা ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের (ইডব্লিওজি) হয়ে কাজ করবে।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে প্রতীক বরাদ্দ শেষ হয়েছে। নির্বাচনে এক হাজার ৮শ ৪১ জন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী প্রচার কাজ শুরু করে দিয়েছেন।

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/ডিসেম্বর ১১,২০১৮)