দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার সভাপতিত্বে বৈঠক শুরু হয়েছে।

বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, কোস্টগার্ড, আনসার ভিডিপিসহ সংশ্লিষ্ট বাহিনী ও সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তারা রয়েছেন।

ভোটে সেনা মোতায়েন রাখার সিদ্ধান্ত হওয়ায় এ বৈঠকে সশস্ত্রবাহিনী বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারাও উপস্থিত আছেন।

৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং স্থানীয় পর্যায়ের পুলিশ ও প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারাও বৈঠকে উপস্থিত আছেন।

এ বৈঠকের পরই মাঠে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন, কত দিনের জন্য-কীভাবে থাকবে তা নির্ধারণ করা হবে। এবার প্রথম বারের মতো গ্রামপুলিশ সদস্যদের ভোটকেন্দ্রের রাখা হবে।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে দেশের ৩০০ আসনে ৪০ হাজার ১৮৩টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এবারের নির্বাচনে সাধারণ এলাকার ভোটকেন্দ্রের পাহারায় একজন পুলিশসহ ১৪ জন সদস্য, মেট্রোপলিটন এলাকার ভোটকেন্দ্রে তিনজন পুলিশসহ ১৫ জন এবং দুর্গম ও উপকূলীয় এলাকার ভোটকেন্দ্রে দুইজন পুলিশসহ ১৪ জন সদস্য মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে ইসির।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, র‌্যাব, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে টহলে থাকবেন।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও আচরণ বিধি প্রতিপালনে দেড় হাজারের বেশি জুডিসিয়াল ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে থাকবেন।

সব মিলিয়ে ভোটের মাঠের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছয় লাখের বেশি সদস্য মাঠে থাকবেন।

এবার ভোটের জন্য ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকায় সিংহভাগই যাবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায়। সেক্ষেত্রে ভোটের মাঠে তাদের অবস্থান বিবেচনা করেই অর্থ বরাদ্দ চূড়ান্ত হবে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যরা নির্বাচনী এলাকায় কত দিন থাকবে তাও বৈঠকে চূড়ান্ত হবে। এ ছাড়া বিজিবি, কোস্টগার্ড, র‌্যাব ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান সদস্যরা স্ট্রাইকিং ও মোবাইল টিম হিসেবে ২৪ বা ২৬ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি মাঠে থাকবেন।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন ঠিক করেছে ইসি।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/ডিসেম্বর ১৩, ২০১৮)