দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচারাভিযানের মাঝে পুলিশ গাজীপুর-৫ আসনে বিরোধীদল বিএনপির প্রার্থী একেএম ফজলুল হক মিলনকে আটক করেছে।

গাজীপুরের পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে কালীগঞ্জ উপজেলার বর্তুল এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকায় নিয়ে যায়। খবর বিবিসির।

মি. হক বিএনপির একজন সাবেক সাংসদ। তিনি একই সাথে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি।

গাজীপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার জানান, ফজলুল হক মিলনের বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন থানার সাতটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে। সেই পরোয়ানার ভিত্তিতে তাকে আটক করা হয়।

মি. হকের পরিবার জানিয়েছে তার বিরুদ্ধে মোট ৩৩টি মামলা রয়েছে। কিন্তু তিনি সব মামলায় জামিনে ছিলেন।

তার স্ত্রী শম্পা হক সাংবাদিকদের বলেছেন, দুপুরের খাবার খেয়ে তিনি একটি সভায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। এসময় গোয়েন্দা পুলিশ তাকে আটক করে।

তাকে 'ওপর মহলের নির্দেশে' আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে বলে মিসেস হক বলেন।

একই দিনে পুলিশ গাজীপুর জেলা বিএনপির সহসভাপতি হুমায়ুন কবির সরকার ও শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল মোতালিবকেও গ্রেপ্তার করেছে।

এরা গাজীপুর-৩ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকীর নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

তাঁর নির্বাচনী প্রচারণায় বিঘ্ন ঘটানোর লক্ষ্যে গায়েবি মামলায় এই দুই নেতাকে আটক করা হয়েছে বলে মি. সিদ্দিকী জানিয়েছেন।

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/ডিসেম্বর ১৪,২০১৮)