ড. কামালকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে আল্টিমেটাম
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : জামায়াতকে নিয়ে প্রশ্ন করায় সাংবাদিকদের হুমকি দেয়ার ঘটনায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় বেধে দিয়েছে সাংবাদিকদের দুই সংগঠন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। একই সঙ্গে বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবিও জানানো হয়েছে।
এ ছাড়া ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করবেন বিএফইউজে ও ডিইউজে নেতারা। এ ছাড়া মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) সারাদেশে বিএফইউজের অঙ্গসংগঠনগুলো বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করবে।
শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সচেতন সাংবাদিক সমাজের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এসব জানানো হয়।
বিএফইউজের মহাসচিব শাবান মাহমুদ বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন- ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, বিএফইউজে যুগ্ম-মহাসচিব অমিয় ঘটক পুলক প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্য ইকবাল সোবহান চৌধুরী প্রশ্ন রেখে বলেন বলেন, ড. কামাল হোসেন জামায়াতের কাছ থেকে কত টাকা খেয়ে তাদের পক্ষে ওকালতি করছেন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে তার ঔদ্ধত্যপূর্ণ এ বক্তব্যের দাঁত ভাঙা জবাব দেয়ার জন্য তিনি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির ভোটারদের আহ্বান জানান।
ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী ড. কামাল হোসেনের ইতিবাচক সংবাদ পরিবেশন না করতে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে শুক্রবার সকালে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে যান জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতারা। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তারা। ‘জামায়াতের তো রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন বাতিল হয়েছে, এখন জামায়াত সম্পর্কে আপনাদের সর্বশেষ অবস্থান কী?-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ক্ষিপ্ত হয়ে যান ড. কামাল। তিনি বলেন, ‘কত টাকা পেয়েছ এই প্রশ্নগুলো করার জন্য? শহীদ মিনারে এসেছ, শহীদদের কথা চিন্তা করা উচিত। কোন চ্যানেল থেকে এসেছ? চিনে রাখব। চুপ করো, খামোশ।’
শনিবার সকালে ওই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে গণমাধ্যমে একটি বিবৃতিও পাঠান তিনি। এতে লেখা হয়েছে- হঠাৎ করেই তার কাছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে জামায়াতের অবস্থান নিয়ে জানতে চাওয়া হয়। তখন তিনি তাৎক্ষণিকভাবে সবিনয়ে জানান, এই দিনে এখানে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চান না। সাংবাদিক আবারও একই প্রশ্ন করলে তিনি একই মনোভাব প্রকাশ করেন। দুইবার এ বিষয়ে প্রশ্ন শুনতে না চাইলেও তৃতীয়বার ভিড়ের মধ্যে থেকে অনবরত ‘জামায়াত জামায়াত’ শব্দ শুনতে পাই। তখন আমার খুবই খারাপ লেগেছিল এবং আমি প্রশ্নকর্তাকে থামানোর চেষ্টা করেছিলাম। আমার বক্তব্য কোনোভাবে কাউকে আহত বা বিব্রত করে থাকলে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/ডিসেম্বর ১৫, ২০১৮)