দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : সিলেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচেই বাংলাদেশ জয়ের মুখ দেখতে পারেনি। আর সেই ম্যাচেই সাকিব আল হাসানের জন্য দুঃসংবাদ দিল ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি।

গত সোমবারের ওই ম্যাচে ‌‌‘আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বিরোধীতা’ করে আইসিসির আচরণবিধির লেভেল ওয়ান ভঙ্গ করার অভিযোগে ম্যাচ ফির ১৫ শতাংশ জরিমানা করেছে আইসিসি।

এর ফলে বাংলাদেশের অলরাউন্ডারের নামের পাশে যুক্ত হলো একটি ডিমেরিট পয়েন্ট। এই নিয়মটি ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে চালু হওয়ার পর এনিয়ে দ্বিতীয়বার ডিমেরিট পেলেন সাকিব। গত মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও তিনি একটি ডিমেরিট পেয়েছিলেন।

ম্যাচ শেষে সাকিব তার অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছেন। মেনে ননিয়েছেন ম্যাচ রেফারি জেফ ক্রোর দেওয়া শাস্তি। এ জন্য কোনও আনুষ্ঠানিকভাবে শুনানির প্রয়োজন হয়নি।

মঙ্গলবার আইসিসি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ঘটনা বাংলাদেশের ইনিংসের ১৪তম ওভারে। সাকিব ছিলেন নন স্ট্রাইকিংয়ে। ওশান থমাসের স্লোয়ার বাউন্সারটা পুল করতে চেয়েছিলেন সাকিব।

কিন্তু ব্যাটে-বলে হয়নি, লেগ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে সেটি চলে যায় উইকেটকিপারের কাছে। সাকিব দাবী করেন, এটা ওয়াইড। কিন্তু আম্পায়ারদের যুক্তি, বলটা তাঁর জার্সি ছুঁয়ে গেছে। ওয়াইড না দেওয়ায় বেশ ক্ষুদ্ধ হন সাকিব।

আম্পায়ারের ওয়াইড না দেওয়ার সিদ্ধান্তে প্রথমে প্রতিবাদ করেন তিনি, তারপর আম্পায়ারের সঙ্গে এনিয়ে লম্বা সময় কথা বলতে দেখা যায় তাকে।

ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চেও সাকিব অনেকটা ক্ষুব্ধ ছিলেন। তিনি বলেন, একমাত্র টস ছাড়া আজ সব কিছুই ভুল ছিল। আমরা ভালো ব্যাট করিনি, ভালো বল করিনি। কমপক্ষে ১৭৫ রান করলেও টিকে থাকার লড়াই করা যেতো।

তিনি বলেন, কেনো ভালো ব্যাট করেনি সেটা অন্যদের কাছে জিজ্ঞেস করুন। আমি সবার হয়ে জবাব দিতে পারবো না। আমি শুধু বলতে পারি, কিছুই ঠিক মতো কাজ করেনি। আমরা যাই করেছি তা কাজ করেনি।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/ডিসেম্বর ১৯, ২০১৮)