দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : হাই কোর্টের আদেশে যে আটটি আসনে বিএনপির প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে, সেখানে নির্বাচন স্থগিত করে পুনঃতফসিল দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে দলটি।

বৃহস্পতিবার সিইসি কে এম নুরুল হুদা ও নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে দেখা করে এই চিঠি দিয়ে এসেছে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল।

প্রতিনিধি দলের প্রধান বিএনপির নির্বাচন পরিচালনার সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের আটজন প্রার্থীর প্রার্থিতা অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন যেসব প্রার্থীর প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করেছে, তাদের মধ্যে একজনকে প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকায় প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেছি। এখন এই প্রার্থী যদি অবৈধ হয়, তাহলে এর দায়িত্ব কে নেবে?

নির্বাচন কমিশন বলেছে বৈধ, আর আদালত বলেছে অবৈধ। তাহলে ভুল করলে নির্বাচন কমিশন করেছে। শাস্তি আমাদের পেতে হবে কেন, প্রশ্ন করেন তিনি।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের নয় দিন আগে ইসিতে গিয়ে এ বিষয়ে দুটি প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি।

নজরুল বলেন, ওই নির্বাচনী এলাকায় যারা বৈধ হয়েছে, তাদের যে কোনো একজনকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়া কিংবা কেউ মারা গেলে সেই আসনে যেরকম নির্বাচন স্থগিত হয় এবং পুনঃতফসিল হয়, সেখানেও তাই করা।

এটাও এক রকমের মৃত্যু। প্রার্থী হিসেবে তাদের হত্যাই করা হয়েছে,বলেন তিনি।

নজরুল জানান, নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন।

নির্বাচন মানেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা। আর এই নির্বাচনে সরকারের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষ। সরকারি দলের প্রতীককে ওয়াকওভার দেয়ার যে প্রস্তুতি, তা হওয়া উচিত না। এর প্রতিকার থাকা উচিত।

নির্বাচনের তফসিল থেকে ফলাফল ঘোষণা পর্যন্ত সব সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশন নিয়ে থাকলেও উচ্চ আদালতে তা বদলে যাওয়ার পেছনে ‘কোনো কারণ’ থাকতে পারে বলে মনে করেন নজরুল।

প্রচারে বাধা পাওয়ার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, আমরা দিয়েই যাচ্ছি অভিযোগ, কিন্তু কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না।

বিএনপি অবৈধ ব্যালট ছাপছে বলে প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশে আইন আছে, কেউ গুজব ছড়ালে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার। প্রধানমন্ত্রী গুজব ছড়ালে কী হবে, আমি জানি না। এই ধরনের ডকুমেন্ট তৈরির আয়োজন শুধু সরকারের আছে, আর কারও নাই।

ইসিতে বিএনপির প্রতিনিধি দলে নজরুলের সঙ্গে ছিলেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বিজন কান্তি সরকার।

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/ডিসেম্বর ২০,২০১৮)