সিরিজ জিততে বাংলাদেশের চাই ১৯১ রান
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ১৯১ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বছরের শেষ ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করে ক্যারিবীয়রা ১৯.১ ওভারে গুটিয়ে গেছে ১৯০ রানে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামলেও শুরুতে ঝড় তুলেছিলেন ওপেনার এভিন লুইস। আক্রমণাত্বক এই ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। তার জোড়া আঘাতেই ধীরে ধীরে আরও বিশাল সংগ্রহের পথ থেকে দূরে সরে যেতে থাকে সফরকারীরা। শেষ দিকে মোস্তাফিজ, সাকিব আঘাত হানলে ২০০ রান পার করা অসম্ভব হয়ে পড়ে তাদের। তারা গুটিয়ে যায় ১৯০ রানে। অথচ এক পর্যায়ে মনে হচ্ছিলো ২০০ রান যেন দৃষ্টিসীমায়!
মিরপুরে শুরুতে টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। টসে জেতার এই সিদ্ধান্তকে এক পর্যায়ে হাস্যকর বানিয়ে দেন ওপেনার লুইস। কারণ ম্যাচে আবু হায়দারের তৃতীয় ওভারেই ঝড় তোলেন এভিন লুইস। ৪ ছয়ে এক ওভারে তোলেন ২৭ রান। পাওয়ার প্লের পুরো ফায়দাই তুলে নেয় সফরকারীরা। ঝড় তুলে ১৮ বলে ফিফটি তুলে নেন লুইস। তাদের ঝড়ো সূচনার মাঝে মেহেদীর চতুর্থ ওভারে ক্যাচের সুযোগ দিয়েছিলেন লুইস। বল হাতে নাকানি চুবানি খাওয়া আবু হায়দার ফিল্ডিংয়েও হন ব্যর্থ। তার ক্যাচ নিতে পারেননি।
পঞ্চম ওভারে অবশ্য ঝড়ো সূচনায় আঘাত হানেন সাকিব। শেষ বলে বোল্ড হন শাই হোপ। তিনি ফেরেন ১২ বলে ২৩ রান করে। আচমকা ঝড়ো সূচনায় উইকেট পড়লে কিমো পলকে উঠিয়ে আনা হয় এরপর। কিন্তু সপ্তম ওভারে মোস্তাফিজুর রহমান আঘাত হানলে ক্যারিবীয়দের এই কৌশল হয় ব্যর্থ। নতুন নামা কিমো পল মেরে খেললেও আরিফুলের হাতে ধরা পড়েন ডিপ স্কোয়ার লেগে।
দশম ওভারে মাহমুদউল্লাহ ইনিংসের প্রথম ওভারে বল করতে আসলেই সফলতার দেখা পান। ক্যারিবীয়দের ঝড়ো গতির এই ব্যাটিংয়ে জোড়া আঘাত হানেন। শুরুতে বোল্ড করেন লুইসকে। ঝড়ো শুরু এনে দেওয়া লুইস ফিরে যান ৩৬ বলে ৮৯ রান করে। তার ইনিংসে ছিলো ৮টি ছয় ও ৬ টি চার। পরের ওভারে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন শিমরন হেটমায়ারকে। হেটমায়ার রিভিউ নিলেও আম্পায়ার্স কলে বিদায় নেন নতুন নামা হেটমায়ার। আগ্রাসী এই ব্যাটসম্যান ফেরেন রানের খাতা খোলবার আগে। তাতেও ক্যারিবীয়দের রানের রাশ টেনে ধরা যাচ্ছিলো না। পুনরায় মাহমুদউল্লাহ আক্রমণে এসে ফেরান মেরে খেলতে থাকা রোভম্যান পাওয়েলকে। ১৯ রানে ব্যাট করতে থাকা পাওয়েলকে ডিপ মিড উইকেটে তালুবন্দী করেন লিটন। মাহমুদউল্লাহর তৃতীয় শিকারের পরেই ধীরে ধীরে ঝড়ো ব্যাটিং থেকে দূরে সরে যেতে থাকে তারা।
তাদের চাপে রাখার কৌশলে সফলতা দেখান মোস্তাফিজুর রহমান। ১৭তম ওভারে বিদায় দেন মেরে খেলতে থাকা নিকোলাস পুরান ও ব্র্যাথওয়েটকে। অথচ স্কোর বোর্ড সমৃদ্ধ করার চেষ্টায় ছিলেন মাঝের উইকেট পতনে। শুরুতে ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা পুরানকে বিদায় দেন মোস্তাফিজ। মেরে খেলতে গিয়ে আবু হায়দারের হাতে ক্যাচ দেন। ২৪ বলে তিনি বিদায় নেন ২৯ রান করে। মোস্তাফিজের জাদু বজায় থাকে একই ওভারে। পঞ্চম বলে তার কাটারে পরাস্ত হন ক্যারিবীয় অধিনায়ক ব্র্যাথওয়েট। গালিতে ক্যাচ নেন মেহেদী হাসান মিরাজ। তিনি বিদায় নেন ৮ রানে।
রান যখন ১৮৮। তখন শেষ দিকে সাকিব চেষ্টা করেন তাদের বেঁধে রাখতে ২০০ রানের কমে। তেমন চেষ্টায় ১৯তম ওভারে ফেরান ফ্যাবিয়ান অ্যালেনকে (৮)। বের হয়ে এসেছিলেন অ্যালেন। তাকে স্টাম্পড করেন মুশফিক। অভিষেক হওয়া রাদারফোর্ডকেও বিদায় দেন সাকিব। ২ রান করা এই ব্যাটসম্যানের ক্যাচ তুলে নেন মুশফিক। শেষ ওভারে থমাস রান আউট হলে ১৯০ রানে শেষ হয় সফরকারীদের ইনিংস।
সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মোস্তাফিজুর রহমান প্রত্যেকে তিনটি করে উইকেট নেন।
(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/ডিসেম্বর ২২, ২০১৮)