ইন্দোনেশিয়ায় নিহত বেড়ে ২৮০, ফের সুনামির শঙ্কা
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : ইন্দোনেশিয়ার জাভা ও সুমাত্রা দ্বীপে শনিবারের সুনামিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে অন্তত ২৮০ জনে দাঁড়িয়েছে। সোমবার দেশটির কর্মকর্তারা নিহতের এই সংখ্যা জানিয়েছেন। কর্মকর্তারা জানান, উদ্ধারকর্মীরা ভারী যন্ত্রপাতি ও হাত দিয়ে ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে নিহত ও জীবিতদের উদ্ধারের চেষ্টা করছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।
এদিকে জাভা ও সুমাত্রা দ্বীপের মাঝামাঝি সুন্দা প্রণালীতে অবস্থিত ক্রাকাতোয়া আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্ন্যুৎপাত অব্যাহত আছে। এর ফলে ফের সুনামির আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ। উপকূলীয় এলাকা থেকে লোকজনকে সরে যাওয়ার জন্য বার বার সতর্ক করছে তারা।
কোনও ধরনের সতর্কতা ছাড়াই শনিবার রাতে সুন্দা প্রণালীতে আঘাত হানে এই সুনামি। এর আঘাতে আহত হয়েছেন সহস্রাধিক মানুষ। মঙ্গলবার পর্যন্ত উঁচু ঢেউয়ের আশঙ্কার কারণে উপকূলের ৩ হাজার বাসিন্দাকে উঁচু স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সোমবার উদ্ধারকর্মীরা ভারী যন্ত্রপাতি ও খালি হাতে ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ করছিলেন। জাভার পশ্চিমাঞ্চলে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পান্ডেগলাংয়ে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সহযোগিতা খুব ধীর গতিতে পৌঁছাচ্ছে।
রবিবার দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা নিহতের সংখ্যা ২২২ জন বলে জানিয়েছিল। আহত ছিলেন আরও ৮৫০ জন ও নিখোঁজ ২৮ জন। কিন্তু সোমবার সকালে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৮০ দাঁড়িয়েছে বলে জানানো হয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই ছুটি কাটাতে যাওয়া ইন্দোনেশীয় নাগরিক।
জেলা সামরিক কমান্ডার দুদি দুইরিয়াদি জানান, সেনা ও স্বেচ্ছাসেবকদের উপকূলের ১০০ কিলোমিটার এলাকায় তল্লাশি জানানোর জন্য বলা হয়েছে।
এদিকে, ইন্দোনেশিয়ার আনাক ক্রাকাটাও আগ্নেয়গিরির কাছের উপকূলবর্তী মানুষদের সমুদ্র সৈকত থেকে দূরে থাকার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। শনিবার অগ্ন্যুৎপাতের পর আবারও আগ্নেয়গিরিটি উত্তপ্ত হয়ে ওঠার কারণে নতুন সুনামির আশঙ্কায় সোমবার এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র সুতোপো পুরো নুগ্রহো এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, আনাক ক্রাকাটাওয়ের লাভা উদগীরণ অব্যাহত থাকায় আরেকটি সুনামির আশঙ্কা রয়েছে।
মুখপাত্র বলেন,আবহাওয়া ও ভূ-তাত্ত্বিক সংস্থার পরামর্শ হলো সৈকতে মানুষের যে কোনও কর্মকাণ্ড থেকে বিরত ও কিছু সময়ের জন্য উপকূল থেকে দূরে থাকা।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/ডিসেম্বর ২৪, ২০১৮)