শেষ পর্যন্ত ভোটে থাকবে ২০ দল
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ থেকে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দল।
রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বুধবার জোটের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সকাল ১১টা থেকে দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত এ বৈঠক হয়।
এতে জনগণকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেওয়ার লক্ষ্যে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সেনাবাহিনীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জোটের নেতারা। পাশাপাশি পক্ষপাতের অভিযোগ তুলে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে তারা।
বৈঠকে জোটের শরিক দলের এক নেতা নির্বাচন বর্জনের পরামর্শ দিলেও তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন বৈঠকে উপস্থিত অন্য সব দলের নেতা।
নেতারা জানান, সারাদেশে ধানের শীষের জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ঐক্যবদ্ধ থেকে ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিন সকাল থেকে ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্র পাহারা দিতে হবে। ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত বলেও বৈঠকে জানান জোটের নেতারা।
পরে সংবাদ সম্মেলনে ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, এ সরকারের আমলে যারা মার খায়, তারাই আসামি হয়। যারা মারে তারা দোষী হয় না। হামলার শিকার ব্যক্তিদের নামে উল্টো মামলা দেওয়া হচ্ছে।
জোটের সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম খান বলেন, সরকার গণতন্ত্রকে নির্দিষ্ট গতিতে চলতে দিচ্ছে না। ২০ দলীয় জোটসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের প্রচারে হামলা চালানো হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধারাও ক্ষমতাসীন দলের হামলা থেকে রেহাই পাচ্ছেন না অভিযোগ করে তিনি বলেন, হাটহাজারীতে ২০ দলের অন্যতম শীর্ষ নেতা মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীরপ্রতীকের ওপরও হামলা হয়েছে।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, হামলা করে রক্তাক্ত করা হয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে। হামলা হয়েছে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহ মোয়াজ্জেমের ওপর। কিশোরগঞ্জে মেজর (অব.) আখতারুজ্জামানকে হামলা করে রক্তাক্ত করা হয়েছে। এসব প্রমাণ করে আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে নয়, তারা দলীয় স্বার্থে কাজ করছে।
২০ দলের সমন্বয়ক বলেন, এসব বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করার পরও তারা কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো হামলাকারীদের সাফাই গেয়েছেন।
বিএনপি নেতা নজরুল সিইসিকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলেন, তারা রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করছেন- বতর্মান সিইসিকে প্রত্যাহার করে একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে নিয়োগ দিন। সেনাবাহিনীর উদ্দেশে তিনি বলেন, সেনাবাহিনীর প্রতি আবেদন জনগণকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে যথাযথ ব্যবস্থা নিন।
নজরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর মাওলানা আবদুল হালিম, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, কল্যাণ পার্টির এম এম আমিনুর রহমান, খেলাফত মজলিসের মাওলানা মুহম্মদ ইসহাক, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মুহিউদ্দিন ইকরাম, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিবি প্রমুখ।
(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/ডিসেম্বর ২৬,২০১৮)