দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র তিন দফা মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করলো বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।

শনিবার (২৯ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে বিটিআরসির নির্দেশে দেশজুড়ে সম্পূর্ণ মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়েছে সবগুলো মোবাইল অপারেটর।

৭ ডিসেম্বর রাত ১০টা থেকে ২৮ ডিসেম্বর সকাল ৮টা পর্যন্ত প্রথমবার দেশের সব মোবাইল ফোনে থ্রিজি ও ফোরজি নেটওয়ার্ক বন্ধ রাখা হয়েছিল। এরপর ২৯ ডিসেম্বর (শনিবার) বিকাল ৩টা থেকে দ্বিতীয় দফায় থ্রিজি ও ফোরজি ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছিল।

দ্বিতীয় দফায় থ্রিজি ও ফোরজি ইন্টারনেট বন্ধ করা হলেও টুজি ইন্টারনেট চালু ছিল। তবে এদিন মধ্যরাত থেকে টুজি ইন্টারনেটও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কার্যত মোবাইল ডাটা ব্যবহার করে ইন্টারনেট সেবা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, ‘রাষ্ট্রের নিরাপত্তার স্বার্থে ও গুজব প্রতিরোধে’ সরকারের নির্দেশনায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ভোটের দিন (৩০ ডিসেম্বর) মধরাত পর্যন্ত মোবাইল ইন্টারনেট পুরোপুরি বন্ধ থাকবে বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।

টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) জাকির হোসেন খান বলেন, ‘রাষ্ট্রের নিরাপত্তার স্বার্থে, গুজব প্রতিরোধে সরকারের নির্দেশনায় মোবাইল ফোন অপারেটদের থ্রি জি ও ফোর জি ইন্টারনেট বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, রোববার রাত ১২টার পর থেকে এ সেবা আবার স্বাভাবিক হবে।অপারেটরদের পাঠানো নির্দেশনায় ৩১ ডিসেম্বর প্রথম প্রহর (০০.০১ আওয়ার) পর্যন্ত ফোর জির ভয়েস ও ডেটা এবং থ্রি জির ডেটা সেবা পুরোপুরি বন্ধ রাখতে বলেছে বিটিআরসি।

সারা দেশে ২৯৯ আসনে রোববার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে। বিটিআরসির নির্দেশনা অনুযায়ী ভোটের দিন মধ্যরাত পর্যন্ত মোবাইল ফোনে ফোর জি বা থ্রি জি সেবা পাওয়া যাবে না।

মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ থাকলেও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট এখনও স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবি’র সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক।

তিনি বলেন, আমরা (আইএসপিএবি) ইন্টারনেটের বিষয়ে কোনও ধরনের নির্দেশনা এখনও পাইনি। সেহেতু ধরে নিতে পারি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু থাকবে।

তিনি বলেন, আমাদেরটা (ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট) বন্ধ না হওয়াই উচিত। বন্ধ হলে ব্যবসায়িক এবং অফিসিয়াল যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এটা খোলা রাখলে সরকারের কোনও ক্ষতি হবে না বলে আমরা মনে করি।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/ডিসেম্বর ৩০, ২০১৮)