দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : দেখতে দেখতে চলে গেলো ২০১৮। পুরোনো বছরের দুঃখ ভুলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরুর প্রত্যয়ে শুরু হলো ২০১৯। নতুন বছর উজ্জ্বল হয়ে উঠুক, নতুন আলোয়, নতুন আশায়। আছে দুঃখ, আছে মৃত্যু, বিরহদহন লাগে।/ তবুও শান্তি, তবু আনন্দ, তবু অনন্ত জাগে —কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের এ কথার মতই দুঃখ, কষ্ট সবকিছু কাটিয়ে নতুন জীবনের দিকে যাত্রার প্রেরণা নেবে মানুষ।

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ইংরেজি নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নানা নিষেধাজ্ঞার পরেও বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে উদযাপন করা হচ্ছে বছরের নতুন বছর।

নতুন বছর উপলক্ষে আলাদা বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারা ইংরেজি নতুন বছর উপলক্ষে দেশবাসী, প্রবাসী বাঙালিসহ বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

গত বছরের প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির হিসাব খুঁজতে খুঁজতে নতুন বছরকে সামনে রেখে আবর্তিত হবে নতুন নতুন স্বপ্নের। পুরনো বছরের সকল জরা-জীর্ণতাকে পেছনে ফেলে পশ্চিম আকাশে মিলে গেছে বছরের শেষ সূর্য। কুয়াশাচ্ছন্ন শীতের সন্ধ্যা থেকেই শুরু হয়েছে বিশ্বজুড়ে নতুন বছরকে বরণের আয়োজন। পুরোনো বছরের দুঃখ ভুলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরুর প্রত্যয়ে শুরু হলো ২০১৯ সাল। নতুন বছরকে স্বাগত জানাচ্ছে গোটা বিশ্ব, পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও। বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের মত আমরাও আমাদের অগণিত পাঠকদের জানাই ‌‌‌‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’। নতুন বছরটি আনন্দে, শান্তিতে ভরে উঠুক—এই প্রত্যাশা।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে খ্রিষ্টীয় নববর্ষে বিগত বছরের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা পেছনে ফেলে নতুন বছরে বাংলাদেশ অমিত সম্ভাবনার পথে এগিয়ে যাবে বলে প্রত্যাশা করেছেন। তিনি বলেন, নববর্ষ সকলের মধ্যে জাগায় প্রাণের নতুন স্পন্দন, নতুন আশা, নতুন সম্ভাবনা। খ্রিষ্টীয় নববর্ষ ২০১৯ সবার জীবনে অনাবিল আনন্দ ও কল্যাণ বয়ে আনুক।

প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন, সংবিধান ও গণতান্ত্রিক ধারা রক্ষা এবং জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত করার ক্ষেত্রে ২০১৮ সাল জাতির ইতিহাসে একটি গৌরবোজ্জ্বল বছর। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গত বছর ছিল বাংলাদেশের জন্য সাফল্যময় বছর।

গ্রেট ব্রিটেনে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার প্রচলিত হয় ১৭৫৬ খ্রিস্টাব্দে। এই ক্যালেন্ডার আমাদের দেশে নিয়ে আসে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ১৭৫৭ খ্রিস্টাব্দে। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের আগে নাম ছিল জুলিয়ান ক্যালেন্ডার। খ্রিস্টপূর্ব ৪৬ অব্দে রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজার মিসরে প্রচলিত ক্যালেন্ডারটি রোমে এনে তার কিছুটা সংস্কার করে রোম সাম্রাজ্যে চালু করেন। এই ক্যালেন্ডারে জুলিয়াস সিজারের নামে জুলাই মাসের নামকরণ করা হয়।

মিসরীয়রা বর্ষ গণনা করত ৩৬৫ দিনে। তাদের ক্যালেন্ডার সংস্কার করে জুলিয়াস সিজার যে ক্যালেন্ডার রোমে প্রবর্তন করলেন তাতে বছর হলো ৩০০ সাড়ে পঁয়ষট্টি দিনে। তবে মিসরীয় ক্যালেন্ডার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলেন, এই ক্যালেন্ডারের প্রবর্তন করা হয় খ্রিস্টপূর্ব ৪২৩৬ অব্দে। ইংরেজি নববর্ষের প্রবর্তন নিয়ে ভিন্ন মতও আছে।

পশ্চিমা বিশ্ব এই দিনকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে পালন করে। বাংলাদেশেও এর প্রভাব পড়ছে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে। বিশেষ করে তরুণ-তরুণীরা ইংরেজি নববর্ষকে স্মরণ করতে বিশেষ আয়োজনে মেতে ওঠে।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/জানুয়ারি ০১, ২০১৯)