দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: রাজধানীর মোহাম্মদপুরে কলেজশিক্ষক কৃষ্ণা কাবেরী মণ্ডল হত্যা মামলায় গুলশানের একটি ব্রোকারেজ হাউজের ব্যবস্থাপক এম জহিরুল ইসলাম পলাশকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন এই রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানাও করেন বিচারক।

এছাড়া কৃষ্ণা কাবেরীর স্বামী ও দুই সন্তানকে হত্যা চেষ্টার মাধ্যমে গুরুতর জখম করার দায়ে আসামি পলাশকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও একবছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

কাবেরী হত্যার আসামি গুলশানের ব্রোকারেজ হাউজ হাজী আহমেদ ব্রাদার্স সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপক জহিরুল ইসলাম পলাশ হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে পলাতক রয়েছেন।

২৩ ডিসেম্বর উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন। একমাত্র আসামি পলাশের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে গত বছরের ২০ এপ্রিল এ হত্যা মামলার বিচার শুরু হয়। মামলার বিচারে বাদী পক্ষে ২২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।

২০১৫ সালের ৩০ মার্চ মোহাম্মদপুরের ইকবাল রোডের ভাড়া বাসায় হামলায় গুরুতর আহত ও দগ্ধ হয়ে পরদিন হাসপাতালে মারা যান কৃষ্ণা কাবেরী। তিনি আদাবরের মিশন ইন্টারন্যাশনাল কলেজের সমাজকল্যাণ বিভাগের প্রভাষক ছিলেন। তার স্বামী সীতাংশু শেখর বিশ্বাস বিআরটিএর প্রকৌশল বিভাগের উপপরিচালক ছিলেন।

ঘটনার পর তার বড় ভাই সুধাংশু শেখর বিশ্বাস ব্রোকারেজ হাউস হাজী আহমেদ ব্রাদার্স সিকিউরিটিজের ব্যবস্থাপক জহিরুল ইসলাম পলাশকে একমাত্র আসামি করে মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। এক বছরের বেশি তদন্ত চালিয়ে ২০১৬ সালের ৩০ মে আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, সীতাংশু বিশ্বাস হাজী আহমেদ ব্রাদার্স সিকিউরিটিজের মাধ্যমে বিও অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন। সেখানে আট লাখ টাকা ছিল। শেয়ার ব্যবসার সূত্রেই জহিরুলের সঙ্গে সীতাংশুর পরিচয়। সীতাংশুর শেয়ার আত্মসাৎ করার জন্য তাকে হত্যার চেষ্টা করে জহিরুল এবং তার হামলায় কৃষ্ণা কাবেরীর মৃত্যু হয়।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/জানুয়ারি ০৩, ২০১৯)