এভাবে ট্রায়াল চললে আর আদালতে আসবো না: খালেদা জিয়া
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আদালতে বলেছেন, ‘এই আদালতে আমি আর আসবো না। এখানে আমার আইনজীবীদের বসার জায়গা নাই। এভাবে যদি ট্রায়াল চলে তাহলে আমি আর আসতে পারবো না। আমাকে যা সাজা দেওয়ার দিয়ে দেন। এখানে ওপেন ট্রায়াল হচ্ছে না।’
বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে নাইকো দুর্নীতি মামলায় ঢাকার পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে অস্থায়ী বিশেষ জজ-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে প্রথমে আদালতে আনা হলে খালেদা জিয়া বলেন, ‘এখানে এতো লোকজন কেন? পুলিশ কমাতে বলেন। এতো পুলিশ থাকলে আমার আইনজীবীরা কীভাবে আসবে। জজ সাহেবের সামনে এতো পুলিশ কেমনে থাকে।’
খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয় দুপুর ১২টা ১২ মিনিটে। বিচারক এজলাসে আসেন ১২টা ১৫ মিনিটে। এরপরই দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল শুনানি শুরু করেন।
আদালতের কার্যক্রম শেষে খালেদা জিয়া তার আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ ও মাহবুব উদ্দিন খোকনের সঙ্গে প্রায় ১০ মিনিট কথা বলেন। এরপর তাকে হুইল চেয়ারে করে নিয়ে যাওয়ার সময় এক সাংবাদিক নির্বাচন নিয়ে কিছু বলার আছে কিনা তা জিজ্ঞাসা করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘এগুলো নিয়ে আমার কিছু বলার নেই।’
২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুদক। ২০০৮ সালের ৫ মে, খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় দুদক। মামলায় অভিযোগে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে ‘তুলে দেওয়ার’ মাধ্যমে আসামিরা রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করেছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সাংসদ এম এ এইচ সেলিম এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া-বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।
(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/জানুয়ারি ০৩, ২০১৯)