দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : ঐতিহ্যবাহী ও দেশের প্রাচীনতম ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী শুক্রবার (৪ জানুয়ারি)।

বাঙালির স্বাধীনতা ও স্বাধিকার অর্জনের লক্ষ্যে মূল দল আওয়ামী লীগের জন্মের এক বছর আগেই প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল গৌরব ও ঐতিহ্যের এই ছাত্র সংগঠন। ১৯৪৮ সালের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এটি প্রতিষ্ঠা করেন। তার নেতৃত্বেই ওই দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলে আনুষ্ঠানিকভাবে সংগঠনটির যাত্রা শুরু হয়।

তৎকালীন তরুণ নেতা শেখ মুজিবের প্রেরণা ও পৃষ্ঠপোষকতায় এক ঝাঁক মেধাবী তরুণের উদ্যোগে এই দিনে যাত্রা শুরু করে ছাত্রলীগ। ১৯৪৯ সালে তৎকালীন পাকিস্তানের প্রথম বিরোধী দল হিসেবে আওয়ামী মুসলিম লীগের আত্মপ্রকাশ ঘটে, যা পরে আওয়ামী লীগ নাম ধারণ করে এ দেশের স্বাধিকার ও স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দেয়। এ প্রেক্ষাপটে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বাঙালি জাতির ইতিহাসে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।

ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠনের নেতাকর্মীরা পরে জাতীয় রাজনীতিতেও নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং এখনও দিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমান জাতীয় রাজনীতির অনেক শীর্ষ নেতার রাজনীতিতে হাতেখড়িও হয়েছে ছাত্রলীগ থেকে।

‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দুর্নিবার, দেশরত্নের হাত ধরে মেধায় বিশ্ব জয়ের অঙ্গীকার’— এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পালিত হতে যাচ্ছে ছাত্রলীগের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।

দিনটিকে যথাযথভাবে পালন করতে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন ছিল। নেওয়া হয়েছে চার দিনব্যাপি কর্মসূচি।

তবে আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মৃত্যুতে সব কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন গণমাধ্যমকে জানান, ‘একাত্তরের চেতনায় ছাত্রলীগ অবিরাম কাজ করে যাবে। প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার উন্নত সমৃদ্ধিশীল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে আত্মনিয়োগ করবে ছাত্রলীগ। বাংলাদেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ ও মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার যে প্রত্যয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কাজ করছেন তা পরিপূর্ণ বাস্তবায়নে সহযোগিতা করবে ছাত্রলীগ।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/জানুয়ারি ০৪, ২০১৯)