সুবর্ণচরে ধর্ষণ: চট্টগ্রাম থেকে আরো একজন গ্রেপ্তার
নোয়াখালী প্রতিনিধি : একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিতণ্ডার জেরে নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলার স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে এক নারীকে মারধর ও গণধর্ষণের ঘটনায় আরো একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) রাতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে চট্টগ্রাম থেকে জসিম উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে শুক্রবার (৪ জানুয়ারি) সকালে গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সুবর্ণচরের চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন।
ওসি আরো জানান, এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখনো অভিযান চলছে। এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে।
ভোটের দিন রাতে সুবর্ণচরের চরজুবলী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বাড়িতে এক নারীকে মারধর ও গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরে ভুক্তভোগীর স্বামী নয়জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলো মো. সোহেল (৩৫), হানিফ (৩০), স্বপন (৩৫), চৌধুরী (২৫), বেচু (২৫), বাসু ওরফে কুড়াইল্যা বাসু (৪০), আবুল (৪০), মোশাররফ (৩৫) ও সালাউদ্দিন (৩৫)। এরা সবাই সুবর্ণচরের মধ্যবাইগ্গা গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার বাদী উল্লেখ করেন, গত ৩০ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ শেষে সরকারি দলের সমর্থক মোশারফ, সালাউদ্দিন ও সোহেলসহ ১০-১২ জন তাঁর বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এ সময় আসামিরা তাঁকে ও তাঁর মেয়েসহ বাড়ির অন্যদের পিটিয়ে আহত করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাখে। পরে তারা তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণ করে এবং পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। পরের দিন সকালে এলাকাবাসী এসে তাঁদের উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই নারী।
এরই মধ্যে এ ঘটনার ‘মূল ইন্ধনদাতা’ সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মো. রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া বেচু মিয়া, বাসু ওরফে কুড়াইল্যা বাসু, মো. স্বপন ও মো. সোহেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জসিমকে নিয়ে গ্রেপ্তারের সংখ্যা দাঁড়াল ছয়জনে।
গত বৃহস্পতিবার পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ওই নারী ও তাঁর স্বামীকে দেখতে যান এবং তাঁর বক্তব্য শোনেন। এ সময় ওই নারী মো. রুহুল আমিনকে মামলার আসামি থেকে বাদ দেওয়ার ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। ডিআইজি পরে সংবাদিকদের বিষয়টি ‘রাজনীতির বাইরে রেখে’ সুষ্ঠু ও যথাযথ তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার আশ্বাস দেন। পুলিশের এ প্রতিনিধিদলটি ঘটনাস্থলও পরিদর্শন করে।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/জানুয়ারি ০৪, ২০১৯)