দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে মতিঝিল থেকে আট কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় মুদ্রা পাচার ও সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাবেক এপিএস মিয়া নূরুদ্দীন আহম্মেদ অপুকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

র‌্যাব-১ এর অধিনায়ক সারোয়ার বিন কাসেম বলেন, শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে অপুকে তারা গ্রেফতার করেন।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে শরীয়তপুর-৩ (ডামুড্যা-ভেদরগঞ্জ-গোসাইরহাট) আসনে ধানের শীষের প্রার্থী অপু গত ২৪ ডিসেম্বর ভোটের প্রচারের সময় সংঘর্ষে আহত হন। এরপর থেকেই তিনি ওই হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

ভোটের মাত্র চার দিন আগে মতিঝিলে ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজ ও ইউনাইটেড করপোরেশনে অভিযান চালিয়ে ওই কোম্পানির এমডি এ এম আলী হায়দারকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। ওই প্রতিষ্ঠান থেকে ৩ কোটি ১০ লাখ ৭৩ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।

মতিঝিল সিটি সেন্টারের ইউনাইটেড করপোরেশনে পাওয়া আট কোটি টাকা মতিঝিল সিটি সেন্টারের ইউনাইটেড করপোরেশনে পাওয়া আট কোটি টাকা পরে হায়দারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী পল্টনের হাউজ বিল্ডিং রোডের বায়তুল খায়ের টাওয়ারের সিটি মানি এক্সচেঞ্জ থেকে আরও ৫ কোটি টাকা জব্দ করা হয়।

এছাড়া গুলশানে অপুর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান আমেনা এন্টারপ্রাইজ অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড থেকে ৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬৫০ টাকাসহ জয়নাল আবেদীন এবং আলমগীর হোসেন নামে আরও দুজনকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

সে সময় র‌্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, হায়দারের মামা ইউনাইটেড এন্টারপ্রাইজের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান শরিয়তপুর-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী অপুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। নির্বাচনে প্রভাব খাটানোর জন্য বিদেশ থেকে দেড়শ কোটি টাকা হুন্ডির মাধ্যমে আনা হয়, তার মধ্যে সাড়ে ৩ কোটি টাকা অপুর কাছে পাঠানো হয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি নূর উদ্দিন আহমেদ অপু এক সময় খালেদা জিয়ার ছেলে তারেকের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করতেন।

দণ্ড নিয়ে যুক্তরাজ্যে থাকা তারেক কয়েক বছর আগে লন্ডন থেকে সৌদি আরবে ওমরাহ পালনে গেলে তার সঙ্গে তখনও অপুকে দেখা গিয়েছিল।

গ্রেফতার করা হলেও অপুকে আপাতত হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হবে বলে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান জানান।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/জানুয়ারি ০৫, ২০১৯)