দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: প্রায় মাস খানেক ধরে তিনি রয়েছেন বিরাটের সঙ্গেই। গেল মাসের পার্থ টেস্ট চলাকালীন সময় তাদের প্রথম বিবাহ বার্ষিকী ছিল। কিন্তু তার পর থেকেই অস্ট্রেলিয়াতেই অবস্থান করছেন আনুশকা শর্মা।

আর এই নিয়ে আগের মতো এবারও ভারত অধিনায়কের পত্নীর মাঠে থাকা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। সমর্থকদের করা কটু মন্তব্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদও করতে দেখা গিয়েছিল বিরাটকে। প্রেমিকা হিসেবে হোক অথবা স্ত্রী সাম্প্রতিক সময়ে নিজের জীবনের প্রতিটি ভাল-মন্দ ভাগ করে নিয়েছেন সর্ব সমক্ষেই। এ দিনও যার অন্যথা ছিল না। ভারত ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের পর গ্যালারি থেকে স্ত্রীকে নামিয়ে আনলেন মাঠে। তার পর ডাগ আউট থেকে তাকে নিয়ে গেলেন মাঠের ভিতরে।

বলিউডের এই অভিনেত্রীর চোখে তখন একরাশ মুগ্ধতা। এদিন সিডনির চক্কর কাটলেন তার স্বামীর সঙ্গে। সবুজ গালিচা সাক্ষী হলো ক্রিকেট রোম্যান্সের। কখনও কোহলির হাতে হাত রেখে ঘুরলেন আনুশকা। তো কখনও আবেগপ্রবণ হয়ে বিরাটের মুখে মাথা গুজলেন তিনি।

সোমবার সিডনিতে শেষ ম্যাচের শেষ দিন আবহাওয়ার জন্য খেলা শুরু করা যায়নি। যে কারণে ম্যাচ ড্র ঘোষণা করে দেয়া হয়েছে। ম্যাচ ড্র ঘোষণা করতেই লেখা হয়ে গিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ভারতের প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়ের ইতিহাস।

ঐতিহাসিক সিরিজ জিতে বিরাট কোহলি নিজেকে উজার করে দিয়েছেন। স্বীকার করে নিয়েছেন এটাই তার জীবনের সেরা প্রাপ্তি। ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ের থেকেও তিনি এই সিরিজ জয়কে এগিয়ে রেখেছেন তার জীবনে।

৩০ বছর বয়সী এই তারকা বলেন, একটাই শব্দ বলতে চাই। আমি গর্বিত। এই দলটির অধিনায়কত্ব করা আমার কাছে গর্বের। দলের সবাই অধিনায়ককে সফল করেছে। অবশ্যই এই মুহূর্তটাকে উপভোগ করতে চাই। এখনও পর্যন্ত এটাই আমার সেরা প্রাপ্তি। সব কিছুর ওপরে থাকবে। আমরা যখন বিশ্বকাপ জিতেছিলাম তখন আমি ছোট ছিলাম। আমি দেখেছিলাম বাকিদের আবেগে ভাসতে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/জানুয়ারি ০৭, ২০১৯)