দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের পরবর্তী শুনানি ২১ জানুয়ারি নির্ধারণ করেছেন আদালত।

রোববার (১৩ জানুয়ারি) আংশিক শুনানি এদিন ধার্য করেন ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমান।

আদালতে এ দিন আসামি গিয়াস উদ্দিন মামুন, সেলিম ভূঁইয়া, সি এম ইউছুফের শুনানি হয়।

এছাড়া এ মামলার আরেক আসামি মওদুদ আহমদের পক্ষে আংশিক শুনানি করেন নিজেই।

আংশিক শুনানি শেষে আদালত ২১ জানুয়ারি শুনানির পরবর্তী দিন ঠিক করেন।

এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ১২টা ২২ মিনিটে আদালতে হাজির করা হয়।

খালেদা জিয়া আসার তিন মিনিট পর সংশ্লিষ্ট বিচারক এজলাসে বসে শুনানি কার্যক্রম শুরু করেন।

নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কানাডীয় প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন।

মামলা করার পরের বছর ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। পরে আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামালউদ্দিন সিদ্দিকী, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াসউদ্দিন আল মামুন, বাগেরহাটের সাবেক সাংসদ এমএএইচ সেলিম এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় যথাক্রমে ১০ এবং সাত বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন খালেদা জিয়া।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার পর পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে খালেদা জিয়াকে বন্দি রাখা হয়।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/জানুয়ারি ১৩, ২০১৯)