দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ‘সেবার মান উন্নত করে রাজউককে জনবান্ধব প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে হবে। বর্তমানে সেবাপ্রত্যাশীদের যে অনাকাঙ্ক্ষিত বিলম্বের শিকার হতে হয় তা দূর করতে হবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘সেবা খাতে স্থবিরতা ও দুর্নীতি কোনোভাবেই কাম্য নয়।’ রবিবার রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সভাকক্ষে এ প্রতিষ্ঠানের চলমান প্রকল্প এবং অন্যান্য কার্যক্রম নিয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনার সময় মন্ত্রী এ কথা বলেন।

মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর আজই প্রথম রাজউকে বৈঠক করেন গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

মন্ত্রী বলেন, ‘রাজউক সম্পর্কে সাধারণ মানুষের যে ধারণা রয়েছে তা খুব সুখকর নয়। এখানে মেধাবী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কাজ করেন। তাই কাজে স্থবিরতা, দুর্নীতি বা অনিয়ম কোনভাবেই কাম্য নয়। মুষ্টিমেয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর অনিয়ম বা দুর্নীতির কারণে গোটা প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তিকে খাটো হয়। এ দিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। প্রতিষ্ঠানের আইন ও নিয়ম-কানুন অনুসরণ করে স্বচ্ছতার সাথে দ্রুত সেবা প্রদানে সবাইকে তৎপর হতে হবে। কারো রাজনৈতিক বিশ্বাসকে প্রতিষ্ঠানের কাজে সাথে মেলানো যাবে না। কোনো বিষয়ে অনিয়ম বা গাফিলতির অভিযোগ এলে সে বিষয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

মন্ত্রী রাজউকের বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে নানা সমস্যা সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন। মন্ত্রীকে জানানো হয় যে, রাজউকের আটটি জোনের মধ্যে দুটিতে নকশা অনুমোদনে অনলাইন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। আগামী জুন মাসের মধ্যে আটটি জোনেই এ সুবিধা চালু করা হবে।

অনুষ্ঠানে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, রাজউকের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আখতার হোসেন, মো. ইয়াকুব আলী পাটোয়ারী, রাজউকের সদস্যগণসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারিগণ উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে মন্ত্রী সকালে মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন শাখা আকস্মিকভাবে পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বিভিন্ন শাখার কাজের খোঁজ-খবর নেন এবং শাখায় অনুপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেন।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/জানুয়ারি ১৩, ২০১৯)