সাফাত জামিনে থাকবেন কিনা জানা যাবে ২২ জানুয়ারি
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বনানীর আলোচিত ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দুই ছাত্রী ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদের জামিন বাতিলের আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। এই বিষয়ে শুনানির জন্য ২২ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন বিচারক।
মঙ্গলবার ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খাদেম উল কায়েসের আদালতে মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। এই দিন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু তার জামিন বাতিলের আবেদন করেন। অন্যদিকে সাফাতের আইনজীবী তার স্থায়ী জামিনের আবেদন করেন।
বাতিলের আবেদনে তিনি বলেন, আসামি সাফাতের অসুস্থতা বিবেচনায় ট্রাইব্যুনাল জামিন মঞ্জুর করেন। কিন্তু আসামি যে এখনও অসুস্থতা তার কোনো সার্টিফেকেট দাখিল করা হয়নি। তাকে দেখেও অসুস্থ মনে হয় না। তাই তার জামিন বাতিল করা প্রয়োজন। জামিন বাতিল না হলে সে সাক্ষীদের ভয়ভীতি ও প্রভাবিত করতে পারেন।
বর্তমানে কারাগারে থাকা সাফাত আহমেদের বন্ধু আসামি নাঈম আশরাফ ওরফে এইচএম হালিম জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী। অন্যদিকে এদিন মামলার একজন ভিকটিম এদিন ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিতে আসেন। কারা কর্তৃপক্ষ কারাগারে থাকা আসামি নাঈম আশরাফকে আদালতে হাজির না করায় সাক্ষ্য পিছিয়ে ২২ জানুয়ারি ধার্য করেন। সাফাতের জামিন বাতিল ও নাঈম আশরাফের আবেদনের ওপর শুনানির জন্যও একই দিন ধার্য করা হয়।
ট্রাইব্যুনালের পেশকার মতিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ২৯ নভেম্বর সাফাত আহমেদের জামিন মঞ্জুর করেন একই বিচারক। এর আগে বিভিন্ন সময় ধর্ষণের সহযোগী আসামি সাফাত আহমেদের দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন এবং বন্ধু সাদমান সাকিব হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন।
২০১৭ সালের ২৮ মার্চ বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে জন্মদিনের পার্টির কথা বলে ডেকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়।
ওই ঘটনার প্রায় ৪০ দিন পর ৬ মে সন্ধ্যায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচজনকে আসামি করে বনানী থানায় ধর্ষণের মামলা করেন এক ভুক্তভোগী।
৮ জুন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম দেলোয়ার হোসেনের আদালতে সাফাতসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের নারী সহায়তা ও তদন্ত বিভাগের পরিদর্শক ইসমত আরা এমি। অভিযোগপত্রে ৪৭ জনকে সাক্ষী করা হয়।
১৩ জুলাই ঢাকার দুই নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শফিউল আজম আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। আসামি সাফাত ও নাঈমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯ (১) ধারা এবং অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে ৯ (১) এর ৩০ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়।
(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/জানুয়ারি ১৫, ২০১৯)