সীতাকুণ্ড সংবাদদাতা : বিএনপির শীর্ষ পাঁচ নেতাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে সীতাকুণ্ড-ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ব্যারিকেড দিয়ে ৮টি গাড়িতে আগুন ও শতাধিক যানবাহন ভাঙচুর করেছে বিএনপি-জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীরা। শুক্রবার রাত ১০টায় পুলিশের সঙ্গে তাদের ব্যাপক সংঘর্ষে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পুলিশ কয়েকটি স্পটে শতাধিক রাউন্ড গুলি চালায়। ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, হামলা ও গুলিতে কমপক্ষে ২০ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে। ব্যারিকেডের ফলে শনিবার সকালেও মহাসড়কে তীব্র যানজট বিরাজ করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাতে ঢাকায় বিএনপির পাঁচ শীর্ষ নেতা গ্রেফতার হওয়ার খবরে সীতাকুণ্ড পৌরসদর, পন্থিছিলা, ছোটকুমিরা, মাদামবিবিরহাট ও ফৌজদারহাট এলাকায় মহাসড়কে নেমে আসে বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরকর্মীরা। সবকটি স্পটে ব্যারিকেড দিয়ে শতাধিক যানবাহন ভাঙচুর চালায় তারা। এ ছাড়া ট্রাক, কভার্ডভ্যান ও সিএনজি অটোরিকশাসহ ৮টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হলে দুপক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয়। পন্থিছিলা এলাকা থেকে বাড়বকুণ্ড পর্যন্ত পুরো সড়ক রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। পুলিশ, বিএনপি, জামায়াত-শিবির, গাড়ির যাত্রী ও পথচারীসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হন বলে জানা গেছে। ব্যারিকেডের ফলে শনিবার সকালেও মহাসড়কে তীব্র যানজট বিরাজ করে।

সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ শাহীন ইমরান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিএনপি-জামায়াত বেশ কিছু স্পটে ব্যারিকেড দিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। কি পরিমাণ গাড়ি ভাঙচুর বা অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। রাতেই এলাকায় বিজিবি মোতায়েনের করা হয়েছে। কিন্তু গাড়িগুলো আড়াআড়িভাবে দাঁড় করিয়ে ও গাছ কেটে ফেলে ব্যারিকেড দেওয়ায় শনিবার সকাল পর্যন্ত যান চলাচল স্বাভাবিক করা যায়নি।

সীতাকুণ্ড থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মো. শাহআলম জানান, বিএনপির শীর্ষ পাঁচ নেতা গ্রেফতারের ঘটনায় হঠাৎ ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ শুরু করে ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ-বিজিবি একসঙ্গে কাজ করছে।

(দিরিপোর্ট২৪/এফএস/এএস/নভেম্বর ০৯, ২০১৩)