দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, পদ্মা সেতুর সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৬৩ শতাংশ।

আগামী পাঁচ বছর মেগা প্রজেক্টগুলো যথাযথভাবে শেষ করা মূল চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি ও দুর্নীতি সহ্য করা হবে না।’

রবিবার সকালে রাজধানীর মহাখালীতে সেতু ভবনে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের বহু প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতুর কাজ শুরু হয়েছে বছর দুয়েক আগে। মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে হাজার হাজার শ্রমিকের পরিশ্রমে সমানতালে এগিয়ে যাচ্ছে কাজ। এ পর্যন্ত মূল সেতুর কাজের অগ্রগতি হয়েছে শতকরা ৭৩ শতাংশ ও নদীশাসন হয়েছে ৫০ শতাংশ। সব মিলিয়ে সার্বিক অগ্রগতি ৬৩ শতাংশ বলে জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর তলদেশে টানেল নির্মাণ, ঢাকায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি সম্পর্কেও জানান ওবায়দুল কাদের।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘২৬১টি পাইলের মধ্যে ১৯১টির কাজ সম্পাদিত। ১৫টি পাইলের আংশিক কাজ শেষ হয়েছে। মোট পিআর হচ্ছে ৪২টি, ১৬টির কাজ সম্পন্ন হয়েছে, ১৫টির কাজ চলমান। স্প্যান হচ্ছে ৪১টি, ছয়টি স্প্যান স্থাপন করা হয়েছে এরই মধ্যে। এখন ৯০০ মিটার পদ্মা সেতু দৃশ্যমান। জানুয়ারির শেষ দিকে জাজিরা প্রান্তে আরেকটি স্প্যান স্থাপনের প্রক্রিয়া এগিয়ে চলছে।’

মন্ত্রী জানান, আগামী পাঁচ বছর দেশের বিভিন্ন স্থানে মেগা প্রকল্পগুলো যথাযথভাবে শেষ করাই হবে এ মন্ত্রণালয়ের মূল চ্যালেঞ্জ। তাই প্রকল্প বাস্তবায়নে কোনো ধরনের ধীরগতি, গাফিলতি বা দুর্নীতি সহ্য করা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দুর্নীতি কোনো অবস্থাতেই প্রশ্রয় দেব না। দুর্নীতির ব্যাপারে জিরো টলারেন্স; এটা আমাদের থাকতে হবে। এ ব্যাপারে কোনো প্রকার শৈথিল্য, দুর্বলতা সহ্য করা হবে না।’

আগামীতে যমুনা নদীর তলদেশেও টানেল নির্মাণ করা হবে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/জানুয়ারি ২০, ২০১৯)