চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বাংলাদেশিকে কুপিয়ে হত্যা
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি : চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার নাস্তিপুর সীমান্তের ভারতীয় অংশে ওমিদুল ইসলাম (৩৩) নামে বাংলাদেশি এক নাগরিককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার সকালে সেখানে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তিনি নাস্তিপুর গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, সোমবার সকাল ১১টার দিকে বাড়াদী গ্রামের কৃষকরা বাড়াদী সীমান্তের ৮০ মেইন পিলার বরাবর ১৬টি পিলারের কাছে ভারতের ১০০ গজের ভেতর কৃষিকাজ করতে গিয়ে ওমিদুল ইসলামের লাশ দেখতে পান।
তারা স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্পে খবর দিলে চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল ইমাম হাসান ও দামুড়হুদা থানা পুলিশের (ওসি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুকুমার বিশ্বাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পরে ভারতের কৃষ্ণনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় বলে জানায় বিজিবি।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম জাকারিয়া জানান, নাস্তিপুর গ্রামের কৃষকরা সকালে মাঠে কাজ করতে গিয়ে বাংলাদেশি সীমান্ত থেকে প্রায় ১০০ গজ ভেতরে ভারতের বিজয়নগর অংশে ওমিদুলের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ নিয়ে বিএসএফের সঙ্গে পতাকা বৈঠক করেন।
এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস জানান, ধারণা করা হচ্ছে, ওমিদুলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার নামে দামুড়হুদা থানায় বেশ কয়েকটি মাদক ও চোরাচালানের মামলা রয়েছে।
নিহতের বাবা আবদুল মালেক জানান, রোববার সন্ধ্যায় বাড়িতেই ছিল ওমিদুল। এর পর একটি ফোন পেয়ে সে বাড়ি থেকে বের হয়। রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। সকাল ১০টার দিকে তিনি ছেলের মৃতদেহ পাওয়ার খবর পান। এ ব্যাপারে তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিচালক লে. কর্নেল ইমাম হাসান জানান, খবর পেয়ে সকালেই নাস্তিপুর সীমান্ত পরিদর্শন করা হয়। পরে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সীমান্তের জিরো পয়েন্টে দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে নিহত বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত চাওয়া হয়েছে। তিনি জানান, বৈঠকে বিএসএফের কমান্ডার হোমেশ্বর সিং জানিয়েছেন, চোরাচালানিদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে ওমিদুল খুন হতে পারেন। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ ফেরত দেওয়া হবে।
(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/জানুয়ারি ২৮,২০১৯)