দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : নিকোলাস পুরানের বিধ্বংসী ইনিংসটা বৃথা গেল। ৩১ বলে অপরাজিত ৭৬ রান করলেও সিলেট সিক্সার্সকে জেতাতে পারলেন না এই ব্যাটসম্যান। তাকে হতাশ করে সবটুকু আলো নিজের দিকে টেনে নিলেন লরি ইভান্স। ব্যাট হাতে টর্নেডো চালিয়ে রাজশাহী কিংসকে তিনি এনে দিয়েছেন ৫ উইকেটের সহজ জয়।


সিলেটের ১৮৯ রানের সংগ্রহটা অনায়াসে পেরিয়ে গেছে রাজশাহী। ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতা ইভান্সের ৩৬ বলে ৭২ রানের সঙ্গে রায়ান টেন ডেসকাটের ১৮ বলে ৪২ রানের দুটো ঝড়ো ইনিংসে ৫ উইকেট হারিয়ে ২ ওভার আগেই জয় নিশ্চিত করে রাজশাহী।

এই জয়ে শেষ ম্যাচ খেলে ফেলা মেহেদী হাসান মিরাজরা ১২ পয়েন্ট নিয়ে উঠে এসেছে তালিকার চার নম্বরে। যদিও পরের রাউন্ড এখনও নিশ্চিত নয় রাজশাহীর। অন্য দলের ম্যাচের ফলের ওপর নির্ভর করছে তাদের শেষ চারে থাকা। এক ম্যাচ বাকি থাকা সিলেটের শেষ চারের আশা শেষই বলা চলে। ১১ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে ছয় নম্বরে তারা।

পুরানের অসাধারণ ইনিংসে ১৮৯ রান সংগ্রহ করার পর জয়ের স্বপ্নই দেখেছিল সিলেট। সেটা আরও উজ্জ্বল হতে থাকে বল হাতে দুর্দান্ত শুরু পেলে। ৭ রান করা জাকির হাসানকে ফিরিয়ে উইকেট উৎসব শুরু করার পর জনসন চার্লস আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করলেও ম্যাচ থাকে সিলেটের নিয়ন্ত্রণে। ৯ রান করা শাহরিয়ার নাফীসকে আউট করার পর চার্লসকে ৩৯ রানে ফেরালে জয়ের আশা আরও বড় হয় অলক কাপালিদের।

কিন্তু এরপরই শুরু ইভান্স-ডেসকাটের তাণ্ডব। ৬৪ রানে ৩ উইকেট হারানো রাজশাহী তাদের ব্যাটে উল্টো চেপে ধরে সিলেটকে। একের পর এক বল সীমানা ছাড়া করে রান উৎসবে মাতেন ইভান্স-ডেসকাট। ডাচ এই ব্যাটসম্যান ১৮ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৪২ রানের চমৎকার ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নে ফিরলেও সচল থাকে ইভান্সের ঝড়।

চলতি বিপিএলে সেঞ্চুরি পূরণ করা এই ইংলিশ ব্যাটসম্যান দেখার মতো সব শটে পূরণ করেন হাফসেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ৩৬ বলে ১০ চার ও ২ ছক্কায় ৭৬ রান করে যখন প্যাভিলিয়নে ফিরছিলেন, তার আগে জয়টা একরকম নিশ্চিতই করে যান রাজশাহীর। বাকি কাজটুকু সেরেছেন ক্রিস্টিয়ান জঙ্কার (৮*) ও সৌম্য সরকার (২*)।

সিলেটের বোলারদের দিতে হয়েছে কঠিন পরীক্ষা। যেখানে ‍সবচেয়ে সফল সোহেল তানভীর ২৭ রানে পেয়েছেন ২ উইকেট। আর কাপালি ৪১ রান খরচায় পেয়েছেন ২ উইকেট।

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/জানুয়ারি ৩০,২০১৯)