শরীয়তপুর প্রতিনিধি: জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানায় আট বছর ও ১২ বছরের দুই শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিশু দুজনকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় পুলিশ শনিবার আবদুল কাদের ভূঁইয়া (২৩) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, নির্যাতনের শিকার শিশু দুটির বাবা সখিপুর থানার নরসিংহপুর ফেরিঘাটের কাছে মেঘনা ব্রিক ফিল্ডে কাজ করেন। তারা ইটভাটার পাশেই বাসা ভাড়া করে বসবাস করেন। গেল ২৪ জানুয়ারি বিকেলে শিশু দুটি বাসার পাশে খেলতে যায়। এসময় স্থানীয় চায়ের দোকানি আবদুল কাদের শিশু দুজনকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে একটি টিনের ঘরের কক্ষে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। পরে ৩১ জানুয়ারি ফের বাসার কাছে এসে শিশু দুটির হাত ধরে টানাটানি শুরু করে আবদুল কাদের। শিশু দুটি ভয় পেয়ে বাসায় ঢুকে ওই দিনের ঘটনা মায়ের কাছে খুলে বলে। পরে বিষয়টি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইটভাটার মালিক জিতু বেপারীকে জানানো হয়। তার পরামর্শে শিশুর অভিভাবকরা ঘটনাটি সখিপুর থানা পুলিশকে অবহিত করে। এরপর শুক্রবার এক শিশুর বাবা নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন। মামলার পর শনিবার নরসিংহপুর এলাকা থেকে আবদুল কাদের ভূঁইয়া নামের ওই চায়ের দোকানিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামূল হক জানান, এই ঘটনায় এক শিশুর বাবা বাদী হয়ে সখিপুর থানায় একটি মামলা করেছেন। পুলিশ শনিবার অভিযান চালিয়ে আবদুল কাদের ভূঁইয়া নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৯)