দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : কাগজে-কলমে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াই। তবে মাঠে লেশমাত্র টের পাওয়া গেল না। স্রেফ উড়ে গেল রিয়াল মাদ্রিদ। চিরশত্রুদের ৩-০ গোলে হারিয়ে কোপা ডেল রে’র ফাইনালে উঠে গেল বার্সেলোনা।

দুই লেগ মিলিয়ে রিয়ালকে ৪-১ গোলে হারিয়ে টানা ষষ্ঠবারের মতো স্প্যানিশ কাপের ফাইনালে নাম লেখাল বার্সা। আসছে ২৫ মে ফাইনালে প্রতিপক্ষ রিয়াল বেটিস অথবা ভ্যালেন্সিয়া।

প্রথম লেগে বার্সার ডেরা ন্যু ক্যাম্পে ১-১ গোলে ড্র করে রিয়াল মাদ্রিদ। দ্বিতীয় লেগে নিজেদের মাঠে অ্যাওয়ে গোলের সুবিধা নিয়ে মাঠে নামে লস ব্লাঙ্কোরা। তবে লিওনেল মেসি- লুইস সুয়ারেজের কাজে পাত্তাই পেল না তারা।

তবে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়ালের শুরুটা ভালোই ছিল। প্রথমার্ধে ছন্দময় ফুটবলে বার্সার সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়ে। বল দখলে আধিপত্য ছিল স্বাগতিকদেরই। ম্যাচে প্রথম সুযোগটা পায় তারাই। কিন্তু ২৩ মিনিটে সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি ভিনিসিয়াস।

৩৭ মিনিটে আরও সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করে রিয়াল। ডি-বক্সে করিম বেনজেমাকে বল বাড়ান ভিনিসিয়াস। গোলরক্ষককে একা পেয়েও নিশানাভেদ করতে পারেননি ফরাসি ফরোয়ার্ড। ৩৮ মিনিটে ভিনিসিয়াসের আরেকটি চোখধাঁধানো শট গোলবারে লেগে ফিরলে গোলবঞ্চিতই থাকে গ্যালাকটিকোরা। মাঝে দু’একবার ছোটখাটো সুযোগ পেয়েছে বার্সা। তবে স্বার্থ হাসিল করতে পারেনি অতিথিরাও। ফলে প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য অবস্থায়।

বিরতির পর নিজেদের গুছিয়ে নেয় বার্সেলোনা। শুরু থেকেই তোলে আক্রমণের ঢেউ। ফলে লিড পেতে সময় লাগেনি। ৫০ মিনিটে উসমানে ডেম্বেলের পাস জালে জড়ান লুইজ সুয়ারেজ।

পরক্ষণে সমতায় ফেরার সুযোগ পায় রিয়াল। তবে ব্যর্থতার ঘেরাটোপে বন্দিই থাকে মাদ্রিদের দলটি। দুর্ভাগ্যই বলতে হবে। ভিনিসিয়াসের ক্রসে দুর্দান্ত হেড করেন সার্জিও রিগুইলন। ফের নিশ্চিত গোল থেকে বার্সাকে রক্ষা করেন জার্মান গোলকিপার টের-স্টেগান।

পরে গোল পরিশোধে মরিয়া হয়ে পড়ে রিয়াল। এতে ঘটে হিতে বিপরীত। ৬৯ মিনিটে বার্সেলোনার পাল্টা আক্রমণ ঠেকাতে গিয়ে নিজেদের জালেই বল জড়ান রক্ষণসেনা রাফায়েল ভারানে। তার আত্মঘাতী গোলে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় কাতালানরা। ম্যাচ থেকেও অনেকটা ছিটকে যায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীরা।

পরে ছন্নছাড়া হয়ে পড়ে রিয়াল। ৭২ মিনিটে সুয়ারেজকে ফাউল করায় পেনাল্টি পায় বার্সেলোনা। সফল স্পট কিকে ব্যবধান ৩-০ করেন উরুগুইয়ান ফরোয়ার্ড। এরপর চেষ্টা করে আর ম্যাচে ফেরা সম্ভব হয়নি রিয়ালের। এতে বড় জয়ে আরও একটি এল ক্লাসিকো জিতে নেয় ভালভার্দের শিষ্যরা।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৯)