দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের সামনে অপার রহস্য নিয়ে হাজির হয়েছে সেডন পার্কের উইকেট। যেখানে অনায়াসে ব্যাট চালিয়ে রানের ফোয়ারা ছুটিয়েছেন নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যানরা, সেখানে হাপিত্যেশ করে মরছেন টাইগার ব্যাটাররা। একের পর এক আসছেন আর যাচ্ছেন।

হ্যামিল্টন টেস্টে প্রথম ইনিংসে ২৩৪ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১২৬ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন তামিম ইকবাল। বাকিরা হন চরম ব্যর্থ। ৫ উইকেট নিয়ে সফরকারীদের গুঁড়িয়ে দেন ওয়েগনার।

পরে নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে দলীয় সর্বোচ্চ ৭১৫/৬ রানে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে নিউজিল্যান্ড। এতে ৪৮১ রানের লিড নেয় কিউইরা। তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ২০০ রানের ইনিংস খেলেন কেন উইলিয়ামসন। এটি তার লংগার ভার্সন ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় ডাবল সেঞ্চুরি। ১৬১ রানের অনিন্দ্যসুন্দর ইনিংস খেলেন টম লাথাম। এছাড়া ১৩২ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলেন জিত রাভাল। মিরাজ-সৌম্য নেন ২টি করে উইকেট।

৪৮১ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা হয় আশা জাগানিয়া। টাইগারদের স্বস্তির শুরু এনে দেন তামিম ইকবাল ও সাদমান ইসলাম। প্রথম ইনিংসে যেখানে থামেন, সেখান থেকেই শুরু করেন তামিম। পথিমধ্যে ফিফটি তুলে নেন তিনি। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন সাদমান। তিনিও ফিফটির পথে এগিয়ে যান।

তবে পারেননি এ ওপেনার। ক্ষণিকেই ভাঙে তার ধৈর্যের বাঁধ। নিল ওয়েগনারের বলে ট্রেন্ট বোল্টের হাতে ক্যাচ তুলে দেন সাদমান। ফেরার আগে করেন ৫ চারে ৩৭ রান। এর জের না কাটতেই বোল্টের শিকার হয়ে দ্রুত মুমিনুল হক ও মোহাম্মদ মিঠুন ফিরলে চাপে পড়ে সফরকারীরা। বিনা উইকেটে ৮৮ থেকে তাৎক্ষণিক স্কোর হয়ে যায় ১১০/৩।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/মার্চ ০২, ২০১৯)