রানার অটোমোবাইলের আইপিও’র লটারির ড্র অনুষ্ঠিত
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ উত্তোলনের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত হতে যাওয়া রানার অটোমোবাইলের প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৪ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর মতিঝিলে এজিবি কলোনি কমিউনিটি সেন্টারে কোম্পানিটির লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়।
রানার অটোমোবাইলের লটারির ড্র অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন, ব্যাবস্থাপনা পরিচালক রিয়াজুল হক, প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম ভূইয়া, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের প্রতিনিধি আলী রাকিব, আইডিএলসির ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মনিরুজ্জামান এবং বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকি প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে কোম্পানিটির ভাইস চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন বলেন, এ কোম্পানিতে আস্থা রেখে যেভাবে সাড়া ফেলেছেন এ জন্য আপনাদেরকে অনেক ধন্যবাদ জানাই। আমরা আশা করি আইপিওতে এসে আমরা আমাদের কর্মকাণ্ডকে সুবিস্তৃত করব এবং আরও উন্নতমানের মটরসাইকেল বাজারজাত করতে পারব। বর্তমানে আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশকে সামনে রেখে গুণগতমান বৃদ্ধি করে প্রতিযোগীতামূলক বাজারে প্রতিযোগীতামূলক দামে মটরসাইকেল বাজারজাত করব। এ লক্ষ্যে আমাদের কাজ চলছে। আশা করি উত্তোলন করা অর্থ যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে কোম্পানিটির কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে বাজারের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাব।
এর আগে কোম্পানিটি ৩১ জানুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত, আইপিওর চাঁদা গ্রহণ করে।
রানার অটোমোবাইলকে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ১০০ কোটি টাকার মূলধন উত্তোলনের জন্য প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে শেয়ার ইস্যু করার অনুমোদন দিয়েছে কমিশন। কোম্পানিটি ১ কোটি ৩৯ লাখ ৩০ হাজার ৩৪৮টি সাধারণ শেয়ার ইস্যু করে।
১ কোটি ৩৯ লাখ ৩০ হাজার ৩৪৮টি সাধারণ শেয়ারের মধ্য ৮৩ লাখ ৩৩ হাজার ৩৩৩টি সাধারণ শেয়ার ৭৫ টাকা মূল্যে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ইস্যু করা হবে। বাকি ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ১৫টি সাধারণ শেয়ার ৬৭ টাকা মূল্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের দেওয়া হবে।
এর আগে গত ১০ জুলাই কোম্পানিটিকে প্রাথমিক গণ প্রস্তাব (আইপিও) এর মাধ্যমে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে শেয়ার বিক্রির বিডিং এর অনুমোদন দেয় কমিশন।
রানার অটোমোবাইল লিমিটেড আইপিওর মাধ্যমে বাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে।
আইপিওর মাধ্যমে সংগ্রহ করা টাকায় কোম্পানিটি গবেষনা ও উন্নয়ন, যন্ত্রপাতি ক্রয়, ব্যাংব ঋণ পরিশোধ ও প্রাথমিক গণ প্রস্তাবের খরচ খাতে ব্যয় করবে।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/মার্চ ০৪, ২০১৯)