দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: দুর্নীতির মামলায় কারাগারে থাকা বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয় নিয়ে কথা বলতে মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সাথে দেখা করবে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল।

বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে এই দলটি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে কথা বলবে, তবে তার চিকিৎসার বিষয়টিই প্রাধান্য পাবে।

এর আগে গত রোববার দলটির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেন, খালেদা জিয়া তাকে বলেছেন যে তিনি কারাগারে যথাযথ চিকিৎসা পাচ্ছেন না।
দুর্নীতির দায়ে এক বছরের বেশি সময় ধরে কারাগারে থাকা বিএনপি নেতা খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসা নিশ্চিত করার বিষয়ে সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে গড়িমসি করছে বলে বিবিসি বাংলা’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিযোগ করেন বিএনপির স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, অতীতেও তিনি (খালেদা জিয়া) বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিলেন এবং বর্তমানে সেই রোগগুলো আরো খারাপ অবস্থা ধারণ করেছে।
বিএনপির দাবি, খালেদা জিয়াকে অনতিবিলম্বে জামিনে মুক্তি দেয়া হোক যাতে তিনি পছন্দমতো হাসপাতালে তার চিকিৎসা নেয়ার সুযোগ পান।
আর জামিন না দেয়া হলে সরকারি ব্যস্থাপনায় ঢাকাতেই তার পছন্দমতো বিশেষায়িত হাসপাতালে যেন তার চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয় – এমনটাই বলা হচ্ছে দলের পক্ষ থেকে।
মোশাররফ হোসেন বলেন, আদালতের নির্দেশে যে মেডিকেল টিমটি গঠন করা হয়েছে তারা খালেদা জিয়ার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে সুপারিশ করেছে যেন তাকে বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
‘কিন্তু সরকার সেই চিকিৎসা শুরু করছে না, গড়িমসি করছে।’
সেজন্যই তারা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে স্বাক্ষাৎ করতে চেয়েছেন বলে জানানো হয়েছে।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তার দায় সরকারকে নিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন মোশাররফ হোসেন।
আপাতত বিএনপির মূল দাবি: খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বাংলাদেশের ভেতরেই বিশেষায়িত হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ।
অন্যদিকে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে বিএনপি বুধবার ঢাকায় এক মানববন্ধনের কর্মসূচিও দিয়েছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/মার্চ ০৫, ২০১৯)