বিশেষ প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের বালুচরা এলাকায় দুই আলেমের ওপর রাত সাড়ে ১১টার দিকে হামলা হয়েছে। প্রতিবাদে বিবিরহাট সুন্নিয়া মাদ্রাসার কয়েকশ’ ছাত্র মুরাদপুর এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।

আহত দুই আলেমকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে, ছাত্রদের বিক্ষোভের কারণে মুরাদপুর-হাটহাজারী সড়কে আধাঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

প্রত্যক্ষদর্শী হাফেজ সুবহান জানান, ষোলশহর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসার মুহাদ্দিস ও লালদীঘি মসজিদের খতিব আল্লামা গোলাম মোস্তফা নুরুন্নবী ও বিশিষ্ট আলেম আল্লামা আবুল কালাম বয়ানি রাঙ্গুনিয়া থেকে ওয়াজ মাহফিল শেষ করে নগরীতে ফেরার পথে শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বায়েজিদ থানার বালুচরা এলাকায় চারটি মোটরসাইকেল নিয়ে ৭-৮ জন যুবক তাদের ওপর হামলা চালায়। তারা দুই আলেমকে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর করে ও ভয়ভীতি দেখায়।

সুবহানের দাবি, হামলাকারীরা হেফাজতের নেতাকর্মী।

হামলার ঘটনা বিবিরহাটের জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসায় জানাজানি হলে মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মাদ্রাসার অন্তত দুইশতাধিক ছাত্র মিছিল নিয়ে বের হয়ে মুরাদপুর এলাকায় গিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকেন। তারা হামলার জন্য জামায়াত-শিবির ও হেফাজতকে দায়ী করে স্লোগান দিতে থাকেন।

স্থানীয় ব্যবসায়ী আবু ইউসুফ জানান, ছাত্ররা মুরাদপুর মোড়ে রাস্তার ওপর অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করলে রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

খবর পেয়ে পাঁচলাইশ থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ছাত্রদের বুঝিয়ে এবং হামলাকারীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়ে রাত ১২টার দিকে অবরোধ তুলে নিতে সক্ষম হন।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে পাঁচলাইশ থানার ওসি ফারুক জানান, দুই আলেমের ওপর হামলার বিচারের দাবিতে কিছু ছাত্র মিছিল করে এসে রাস্তার ওপর অবস্থান নেন। তাদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত হয়ে গেছে।

নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি) বাবুল আক্তার জানান, হামলাকারীদের ধরতে পুলিশি চেষ্টা অব্যাহত আছে।

(দ্য রিপোর্ট/কেএইচ/এমএআর/এজেড/মার্চ ০৯, ২০১৪)