দিরিপোর্ট২৪ প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কেয়া কসমেটিকসের আয়ের পরিমাণ কমেই চলেছে। তাছাড়া শেয়ার হোল্ডারদের লভ্যাংশের পরিমাণ এবং সম্পদ মূল্যও নাজুক অবস্থায় রয়েছে কোম্পানিটির।

অবস্থা ভাল করার লক্ষে ২০১১ সালে ১টি শেয়ারের বিপরীতে ১টি রাইট শেয়ার ইস্যু করে কেয়া কসমেটিকস। ২০ টাকা প্রিমিয়ামসহ রাইট শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হয় ৩০ টাকা। কিন্তু রাইট শেয়ারের অর্থ সংগ্রহ করার পর থেকেই কোম্পানির আয় ক্রমান্বয়ে কমতে থাকে।

কেয়া কসমেটিকস ২০১০ সালে শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ৫.২৬ টাকা। ২০১১ সালে এর ইপিএস ৪.৩৯ টাকা এবং ২০১২ সালে ইপিএস হয় ৩.৫১ টাকা। আর সর্বশেষ ২০১৩ অর্থবছরের কোম্পানির ইপিএস আরো কমে হয়েছে মাত্র ১.৫৫ টাকা। কোম্পানির এমন ধারাবাহিক খারাপ পারফরমেন্সে শেয়ার হোল্ডাররা এখন কোম্পানিটি নিয়ে দুশ্চিন্তায়।

এদিকে সম্পদের পরিমাণও নাজুক অবস্থায় কেয়া কসমেটিকসের। রাইট শেয়ার ঘোষণার আগে ২০১০ সালে শেয়ারপ্রতি সম্পদ ছিল ২২.৮৭ টাকা। রাইট শেয়ার সাবস্ক্রিপশন হওয়ার পর থেকে সম্পদ মূল্যও কমতে থাকে। ২০১১ সালে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি সম্পদের পরিমাণ কমে দাঁড়ায় ২০.৬৯ টাকায় ও ২০১২ সালে যা আরো কমে দাঁড়ায় ১৯.৯৯ টাকা।

কোম্পানির নেতিবাচক পারফরমেন্সের কারণে পুঁজিাবাজারে এর শেয়ারদরও কমছে। রাইট শেয়ার ইস্যুর আগের বছর কোম্পানিটির শেয়ারের বাজার দর ছিল ৮০ টাকারও বেশি। দুই বছরের ব্যবধানে এর শেয়ার দর প্রায় ৫৬ টাকা কমে দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকার কাছে।

২০১১ সালে এ কোম্পানি শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ প্রদান করে ২১ শতাংশ বোনাস শেয়ার। আর ২০১২ সালে লভ্যাংশ প্রদান করে ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার। ২০১১ সালের তুলনায় ২০১২ সালে ইপিএস যতটা কমেছে, লভ্যাংশ কমেছে তার চেয়ে অনেক বেশি হারে। তাছাড়া ২০১৩ সালেও ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেওয়ার সুপারিশ করেছে কর্তৃপক্ষ।

কোম্পানিটির সচিব সৈয়দ নুরুল আলম বলেন, মূলত রাইট শেয়ার ও বোনাস শেয়ারের মাধ্যমে মোট শেয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে আয়ের ক্ষেত্রে প্রভাব পড়েছে। তাছাড়া সামগ্রিকভাবে ব্যবসায়ে আংশিক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে জানান তিনি। আর রাইট শেয়ারের মাধ্যমে উত্তোলিত টাকা পূর্ণ ব্যবহার করেছেন বলে জানান। তাছাড়া আগের অর্থবছরে নগদ লভ্যাংশ প্রদান না করায় শেয়ার প্রতি আয় করা ৩.৫১ টাকাও ব্যবহার করেছেন বলে উল্লেখ করেন।

কোম্পানির মোট শেয়ারের ৬৬.১০ শতাংশ রয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে। স্বাভাবিকভাবেই সাধারণ বিনিয়োগকারীরা কোম্পানিটির ভবিষ্যৎ পারফরমেন্স নিয়ে খুবই চিন্তিত।

(দিরিপোর্ট২৪/আরএ/এপি/জেএম/নভেম্বর ০৯, ২০১৩)