যারা নিরাপত্তা দিবে সে দেশেই সফরে যাবে বাংলাদেশ: পাপন
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: বিদেশে সফরে গেলে বাংলাদেশ দলকে আরো নিরাপত্তা দেওয়ার দাবি জানালেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। অতিথি দলগুলো বাংলাদেশে এলে যে ধরনের নিরাপত্তা পায়, বিদেশে সফরে গেলে বাংলাদেশ দলেরও একই ধরনের নিরাপত্তা পাওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।
শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চের হ্যাগলি ওভালের একটি মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করতে গিয়ে অল্পের জন্য বন্দুকধারীর হামলা থেকে বেঁচে যান বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটাররা। মসজিদের ভেতরে অভিবাসনবিরোধী উগ্র এক শ্বেতাঙ্গ হামলাকারীর হামলায় অন্তত ৪৯ জন নিহত হন।
স্রেফ ভাগ্যের জোরে বড় ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা পান তামিম-মুশফিকরা। ঘটনাকে অনাকাঙ্ক্ষিত ও অত্যন্ত উদ্বেগজনক জানিয়ে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে নাজমুল হাসান বলেন, ‘আমাদের দেশে কোনো দল যখন খেলতে আসে, তখন ওরা যে ধরনের নিরাপত্তার কথা বলে, সে ধরনের নিরাপত্তাই দিতে হয়। আমরা এখন পর্যন্ত এমন নিরাপত্তা পাইনি। আমরা এটা নিয়ে জোরাজুরিও করি না। অন্য দেশগুলোও দেখেছি, এটা নিয়ে কিছু বলে না। নিউজিল্যান্ডে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে, ওদের ধারণাই নেই। ওরা হয়তো অপ্রস্তুত ছিল। এখন হয়তো এই ব্যাপারে আরো সতর্ক হবে।’
আর হামলা সম্পর্কে বিসিবি সভাপিত বলেন, ‘আপনারা ভিডিওতে দেখেছেন, হামলাকারী মসজিদের বাইরে এসেও গুলি করেছে। ক্রিকেটাররা মসজিদের বাইরে বাসের ভেতর অবস্থান করলেও কিন্তু বিপদ হতে পারত। আল্লাহর অশেষ রহমত যে, ওরা পার্কের ভেতর দিয়ে স্টেডিয়ামে চলে আসতে সমর্থ হয়।’
বিসিবি সভাপতি আরো বলেন, ‘এই ঘটনায় স্টেডিয়ামে আটকে পড়া কয়েকজন সাংবাদিক আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করলে ১৫-২০ মিনিট পর আটকে পড়া সাংবাদিকদের হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়।’
এখন বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটার ও সঙ্গে থাকা অন্যদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে জানিয়ে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘নিউজিল্যান্ডে এখন সবকিছু বন্ধ করে রাখা হয়েছে। সব ফ্লাইটও সম্ভবত বন্ধ করে রাখা হয়েছে, আমরা বিস্তারিত কিছুই জানি না। আমি পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলে অনুরোধ করেছি ক্রিকেটারদের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করার জন্য। তিনি সব ধরনের সহায়তা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
টিকেটসহ সবকিছু আমরাই করব। আমি ওদেরকে আর একমুহূর্ত ওখানে রাখতে চাচ্ছি না।’
এক প্রশ্নের জবাবে নাজমুল হাসান বলেন, ‘এমন ঘটনা যেকোনো দেশেই ঘটতে পারে। আমাদের কথা হচ্ছে, বাংলাদেশে এলে অতিথি দলগুলোকে আমরা যেমন নিরাপত্তা দিই, বাংলাদেশ দলকেও কোথাও খেলতে গেলেও তেমন নিরাপত্তা দেওয়া উচিত। আগামীতে খুঁটিনাটিসহ সব জেনে দলের নিরাপত্তার বিষয়ে শতভাগ নিশ্চিত হলেই বাংলাদেশ দলকে কোথাও সফরে পাঠানো হবে।’
(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/মার্চ ১৫, ২০১৯)