মুক্তিযুদ্ধের পাঁচ বীরকন্যাকে সম্মাননা ও সংবর্ধনা
![](https://bangla.thereport24.com/article_images/2019/03/19/IMG_20190318_194336-750x430.jpg)
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : মুক্তিযুদ্ধের পাঁচ বীরকন্যাকে সম্মাননা ও সংবর্ধনা প্রদান করেছে সমাজসেবামূলক নারী সংগঠন ‘চেষ্টা’
মুক্তিযুদ্ধের পাঁচ বীরকন্যাকে সম্মাননা ও সংবর্ধনা জানিয়েছে সমাজসেবামূলক নারী সংগঠন ‘চেষ্টা’। সোমবার রাতে রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত এই সম্মাননা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।
অনুষ্ঠানে যে পাঁচজন বীরকন্যাকে সম্মাননা ও সংবর্ধনা প্রদান করা হয়, তারা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রিজিয়া বেগম, নরসিংদীর রাজিয়া বেগম, বরিশালের লুৎফা বেগম, কুমিল্লার নুরজাহান বেগম এবং হবিগঞ্জের সন্ধ্যা রানী। সম্মাননা স্মারকের পাশাপাশি তাদেরকে আর্থিক সহায়তাও দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, আপনারা যে নারী সংগঠনের হয়ে বীরকন্যাদের সংবর্ধনা দিতে পারছেন এজন্য আমরা আনন্দিত ও গর্বিত।
বাংলায় নারী জাগরণের অগ্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমনটা মন্তব্য করে অনুষ্ঠানে তিনি আরো বলেন, এই যে নারী জাগরণ এটা একমাত্র সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের জন্য। কারণ প্রধানমন্ত্রী নারী জাগরণের অগ্রদূত, এবং তিনিই নারীদের জাগ্রত করেছেন।
অনুষ্ঠানে গোলাম দস্তগীর আরো বলেন, এই স্বাধীনতার মাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন, বঙ্গবন্ধুর কারণে মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুর কারণে আমরা মুক্তিযোদ্ধা, বঙ্গবন্ধুর কারণেই বীরকন্যারা আমাদের সামনে বসে আসেন। এই স্বাধীনতার মাসে আপনারা আমাদের বীরকন্যাদের সংবর্ধনা দিচ্ছেন, এটা সত্যি গর্বের বিষয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রতিটি বীরকন্যা এ দেশের প্রতিটি বাঙালির কাছে মাতৃতুল্য। বীরকন্যা মায়েদের সম্ভাব্য সব ধরনের সুবিধা নিশ্চয়তা প্রদানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
তিনি বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি আমাদের বীরাঙ্গনা মা-বোনদের নাম, তাদের ত্যাগ বাঙালি জাতির ইতিহাসে আজীবন স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। নিজ মাকে যেমন শ্রদ্ধার সঙ্গে দেখতে হয়, আমাদের প্রতিটি বীরাঙ্গনা মাকেও সেই শ্রদ্ধা নিয়ে দেখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার সকল মুক্তিযোদ্ধার পাশাপাশি প্রতিটি বীরকন্যা মায়ের প্রতি যত্মশীল।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন ‘চেষ্টা ‘র সদস্যবৃন্দরা
‘চেষ্টা’র কার্যনির্বাহী সদস্য নিলুফার রেহমান বলেন, আর্তমানবতার সেবার লক্ষ্যেই ‘চেষ্টা’র আত্মপ্রকাশ। মুক্তিযুদ্ধের বীরকন্যাদের খুঁজে বের করে তাদের সম্মাননা ও পুনর্বাসন করাই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য। যা কি না আমরাই প্রথম শুরু করি। এই নিয়ে পঞ্চমবারের মতো আমরা বীরকন্যাদের সম্মানিত করছি।
‘চেষ্টা’র সভাপতি সেলিনা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি ও আরমা দত্ত, সাবেক সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল এম হারুন-অর-রশিদ, ‘চেষ্টা’র সাধারণ সম্পাদক লায়লা নাজনীন হারুনসহ অন্যান্যরা।
(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/মার্চ ১৯,২০১৯)