দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদনকে একপেশে দাবি করে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ সরকারের তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ওই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে নিজেদের মানবাধিকার পরিস্থিতির দিকে নজর দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

গত ৩০ ডিসেম্বরের ‘একপেশে’ নির্বাচনকে অনিয়মে ভরা উল্লেখ করে তা অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়নি বলে বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদন প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর।

ওই প্রতিবেদনে, নির্বাচনী অনিয়ম ছাড়াও গত বছর বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম, নির্যাতন, উদ্দেশ্যমূলক আটক, শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বাধা, রাজনৈতিক কর্মীদের বন্দী, গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বাধাসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচন ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছ তা একপেশে। এটি মূলত কিছু সংস্থার পাঠানো রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে বলে আমরা মনে করি। রিপোর্টে সেই সমস্ত সংস্থার নামও উল্লেখ করা হয়েছে। আমরা এই প্রতিবেদনকে প্রত্যাখান করছি।’

গত জাতীয় নির্বাচন উৎসবমূখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে হয়েছে দাবি ওই নির্বাচন নিয়ে নিজের পর্যবেক্ষণও বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেও প্রচারণায় ছিল না। অনেক জায়গায় পোস্টার লাগায়নি, প্রার্থীদেরও দেখা যায়নি।

‘বিএনপি প্রথম দিকে ৩০০ আসনে ৮০০ জনকে মনোনয়ন দিয়েছিল যেটি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন দেওয়ার ইতিহাসে রেকর্ড এবং এটি করতে গিয়ে যে মনোনয়ন বাণিজ্যের কথা জেনেছি-শুনেছি এটি অত্যন্ত দুঃখজনক ও অনিভেপ্রেত, এ বিষয়গুলো এ রিপোর্টের মধ্যে আসেনি।’

‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি খুব ভালো’ উল্লেখ করে হাছান বলেন,যুক্তরাষ্ট্র আমাদের ব্যাপারে যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আমি মনে করি যুক্তরাষ্ট্রের নিজেদের মানবাধিকার পরিস্থিতির দিকে নজর দেওয়ার প্রয়োজন আছে।’

কিছু সংগঠন অব্যাহতভাবে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে মনগড়া প্রতিবেদন প্রকাশ করে জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তাদের রিপোর্ট নিয়ে যে কেউ রিপোর্ট প্রকাশ করলে একপেশেই হবে।

(দ্য রিপোর্ট/টিআইএম/১৯ মার্চ ,২০১৯)