স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু, ময়নাতদন্ত রিপোর্টের অপেক্ষায় পুলিশ
বিশেষ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম : নগরীর আকবর শাহ থানাধীন পূর্ব ফিরোজ শাহ এলাকায় বৃহস্পতিবার একসঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যুর রহস্য জানতে ময়নাতদন্ত রিপোর্টের অপেক্ষায় রয়েছে পুলিশ ও স্বজনরা।
ঘটনার ৭২ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পরও শিক্ষক রাজীব চৌধুরী ও স্ত্রী সহকারী খাদ্য কর্মকর্তা সঞ্চিতা শীলের মৃত্যুকে ঘিরে তাদের স্বজন ও এলাকার লোকজনের কাছে রহস্য বিরাজ করছে।
পুলিশের দাবি, নিহতের সুরতহাল রিপোর্টে অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া যায়নি। দুজনকে কুপিয়ে হত্যা কিংবা হাত-পায়ের রগ কেটে দেওয়ার কোনো আলামতও পাওয়া যায়নি।
স্বজনদের দাবি, রাজীবের মাথা কুপিয়ে ও পায়ের রগ কেটে এবং সঞ্চিতার দুই হাতের রগ ও কব্জি কেটে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মজিদ বলেন, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেলে এটি খুন না দুর্ঘটনা তা জানা যাবে।
বৃহস্পতিবার ভোরে পূর্ব ফিরোজ শাহ কলোনির বিশ্বব্যাংক আবাসিক এলাকার এক নম্বর সড়কের ‘এম’ ব্লকে রাজীব চৌধুরী ও তার স্ত্রী সঞ্চিতা শীলের রহস্যজনক মৃত্যু হয়।
রাজীব পূর্ব ফিরোজ শাহ কলোনি সিটি করপোরেশন উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক। আর স্ত্রী সঞ্চিতা শীল হাটহাজারী খাদ্য অধিদফতরের সহকারী পরিদর্শক পদে কর্মরত ছিলেন।
সঞ্চিতার ভাই তড়িৎ শীলের দাবি, পূর্বপরিকল্পিতভাবে একদল দুর্বৃত্ত রাজীব ও সঞ্চিতাকে খুন করেছে। প্রশাসনের কাছে এ হত্যাকাণ্ডের বিচারসহ অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি।
রাজীব চৌধুরীর ছোট ভাই অভিজিৎ চৌধুরী বলেন, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এলে সবকিছু পরিষ্কার হবে।
আকবর শাহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মজিদ বলেন, রাজীব-সঞ্চিতা দম্পতির মৃত্যুর ঘটনায় থানায় আপাতত একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। পরে ময়নাতদন্ত রিপোর্টে হত্যাকাণ্ডের বিষয় এলে এটি হত্যা মামলা হিসেবে রুজু করা হবে।
নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যাকাণ্ড দাবি করা হলেও থানায় এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ করা হয়নি বলে জানান ওসি।
নিহত রাজীব চৌধুরী ফটিকছড়ি উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের পাঁচপুকুরিয়া গ্রামের মৃত আদেশ শীলের ছেলে ও মরমি গানের শিল্পী শিমুল শীলের ভাতিজা। আর সঞ্চিতার বাবার বাড়ি হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের সরকারহাট এলাকায়। তাদের ৮ বছর ও সাড়ে ৩ বছর বয়সী দুটি মেয়ে রয়েছে।
(দ্য রিপোর্ট/কেএসসি/ইইউ/এএস/শাহ/মার্চ ০৯, ২০১৪)