দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : আইপিএলে স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের হাতে জস বাটলারে মানকাডিং (রান আউট) করা ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে জয় পেয়েছে কিংস ইলাভেন পাঞ্জাব।

কিংস ইলিভেন পাঞ্জাবের দেওয়া ১৮৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করছিল রাজস্থান রয়্যালস। ত্রয়োদশ ওভারের ঘটনা। দুর্দান্ত ব্যাটিং করছিলেন জস বাটলার। তার ব্যাটে চড়ে জয়ের স্বপ্ন দেখছিল রাজস্থান রয়্যালস। বিতর্কিত এ ঘটনার পর ক্রিজে আসেন স্টিভেন স্মিথ। তিনি স্যামসনের সঙ্গে ৪০ রানের জুটি গড়েন। এসময় ম্যাচ রাজস্থানের দিকেই হেলে পড়েছিল।

রাজস্থানর জয়ের জন্য এক পর্যায়ে ২৪ বলে প্রয়োজন ছিল ৩৯ রানের, হাতে ছিল ৮টি উইকেট। কিন্তু ১৭তম ওভারে স্মিথ ও স্যামসন বিদায় নিলে ম্যাচের রং পাল্টাতে থাকে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৭০ রান করতে সমর্থ হয়।

এর আগে রাজস্থান রয়্যালসের রান যখন এক উইকেটে ১০৮। উইকেটে বোলিং প্রান্তে ছিলেন ৪৩ বলে ৬৯ রান করা জস বাটলার। রাজস্থান রয়্যালসের বোলারদের তুলোধুনা করা এ ব্যাটসম্যান বোলার অশ্বিন রানারআপ নেয়ার সময় সামান্য এগিয়ে যান।

আর তাই দেখে অশ্বিন সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি। বল ব্যাটসম্যান স্যামসনের দিকে না ছুঁড়ে হঠাৎ রানারআপ থামিয়ে স্ট্যাম্প ভেঙে দেন অশ্বিন। বিষয়টি নিয়ে ফিল্ড আম্পায়ারও দোটানায় ভুগেন। অতঃপর তিনি শরণাপন্ন হন টিভি আম্পায়ারের ওপর। আর টিভি আম্পায়ার বাটলারকে রান আউট ঘোষণা করেন। মানকাডিং (রানআউট) এ নিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে নতুন বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

সোমবার জয়পুরের শাওয়াই মনসিং ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রাজস্থান রয়েলসের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ওপেনার লোকেশ রাহুলের উইকেট হারায় পাঞ্জাব। দলীয় ৪ রানে ফেরেন তারকা ওপেনার রাহুল।

ক্রিস গেইলে উজ্জীবিত হয়ে ব্যাটিংয়ে ঝড় তোলেন সরফরাজ খান। গেইল-সফরাজের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে রাজস্থানের বিপক্ষে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৮৪ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব।

ওয়ান ডাউনে ব্যাটিংয়ে নামা মায়াঙ্ক আগরওয়ালকে সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৫৬ রানের জুটি গড়েন গেইল। ২৪ বলে ২২ রান করে ফেরেন আগরওয়াল। তবে ইনিংসের শুরু থেকেই ব্যাটিং তাণ্ড চালিয়ে যান গেইল। চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে গেইলে উজ্জীবিত হয়ে একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকাতে থাকেন সরফরাজ খান।

দুর্দান্ত খেলতে থাকা গেইল শেষ পর্যন্ত আউট হন বাউন্ডারিতে ক্যাচ তুলে দিয়ে। দলীয় ১৬তম ওভারে বেন স্ট্রোকের বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে সীমানার কাছে ত্রিপথির দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হন গেইল।

একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকিয়ে যাওয়া গেইল থামেন ৪৭ বলে ৭৯ রান করে। তার ইনিংসটি চারটি ছক্কা ও আটটি চারে সাজানো।

গেইলের বিদায়ের পর ব্যাটিং তাণ্ডব অব্যাহত রাখেন সরফরাজ। তার ২৯ বলের অপরাজিত ৪৬ রানে ভর করে শেষ পর্যন্ত ১৮৪ রান তুলতে সক্ষম হয় পাঞ্জাব। ছয়টি চার ও এক ছক্কায় ৪৬ রান করেন সরফরাজ খান।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/মার্চ ২৬, ২০১৯)