কক্সবাজারে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রোহিঙ্গাসহ নিহত ৪
কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজারের টেকনাফ ও পেকুয়ায় পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রোহিঙ্গা ইয়াবা কারবারি ও জলদস্যুসহ চারজন নিহত হয়েছেন।
বুধবার ভোরে বিজিবি ও র্যাবের সঙ্গে এসব বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ সময় এক লাখ ৯০ হাজার পিস ইয়াবা ও ৮টি অস্ত্র ও ২৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়ন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবির) ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক শরীফুল ইসলাম জোমাদ্দার ও র্যাব-৭ চট্টগ্রামের কমান্ডার মেজর মেহেদী হাসান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
টেকনাফে নিহতরা হলেন- কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মো. তাহেরের ছেলে মোহাম্মদ ইলিয়াস (১৮) ও বালুখালী ক্যাম্পের মো. ইদ্রিসের ছেলে মো. ফারুক মিয়া। তাদের গলায় রোহিঙ্গা কার্ড ছিল।
জানা গেছে, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের ঘটনায় তারা পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন। কিন্তু তখন থেকে মিয়ানমারের আসা যাওয়া করে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন তারা।
টেকনাফ-২ ব্যাটালিয়ন বিজিবির ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক শরীফুল ইসলাম জোমাদ্দার জানান, প্রতিদিনের মতো টহলকালে বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে বিজিবির একটি দল টেকনাফের হোয়াইক্যং ঝিমংখালীর খারাংখালী নাফনদী সীমান্ত পয়েন্ট এলাকায় দুই ব্যক্তিকে নদী পার হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে দেখে। কর্তব্যরত বিজিবির সদস্যরা বাধা দিতে গেলে বিজিবিকে লক্ষ্য করে তারা গুলি ছোড়ে। এ সময় আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি চালায়। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর গুলির আওয়াজ থেমে গেলে ঘটনাস্থলে দু’জনের গুলিবিদ্ধ দেহ পড়ে থাকতে দেখে। তাদের সঙ্গে থাকা পুটলি তল্লাশি করে এক লাখ ৯০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার উদ্ধার করা হয়। পরে পুলিশে খবর দিলে সকালে মরদেহগুলো নিয়ে যায় তারা।
টেকনাফ থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) এসএম দোহা জানান, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহগুলো কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে বিজিবি বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট আইনে একটি মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
অপরদিকে কক্সবাজারের উপকূলীয় উপজেলা পেকুয়ার মগনামা ঘাট এলাকায় র্যাব-৭ এর টহল দলের সঙ্গে জলদস্যুদের ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই জলদস্যু নিহত হয়েছেন। বুধবার ভোরে ৪টার দিকে এ গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে।
মেজর মেহেদী হাসান জানান, মগনাঘাট এলাকায় একদল জলদস্যু জড়ো হয়েছে জানতে পেরে র্যাব-৭ এর একটি দল ঘটাস্থলে টহলে যায়। তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে জলদস্যুরা গুলি করে। র্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালালে কিছুক্ষণ পর জলদস্যুরা পিছু হটে। গুলির আওয়াজ থেমে গেলে ঘটনাস্থল থেকে দুজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ ও ৮টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ২৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। পরে মরদেহগুলো পেকুয়া থানা পুলিশকে দিয়ে দেয়া হয়েছে।
পেকুয়া থানা পুলিশের ওসি জাকির হোসেন ভুঁইয়া তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। লাশগুলো ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। পাশাপাশি পরিচয় জানার চেষ্টাও অব্যহত রয়েছে বলে উল্লেখ করেন ওসি।
(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/মার্চ ২৭, ২০১৯