দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: রাজধানীর বনানীর এফ আর টাওয়ারে লাগা আগুন ৯৫ ভাগ নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড প্ল্যানিং) সিদ্দিক মো. জুলফিকার আহমেদ। তিনি আরও বলেছেন, ‘ভেতরে টেম্পারেচার হাই হওয়ার কারণে কিছু জায়গায় আগুন জ্বলছে।’

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যার পর ঘটনাস্থলে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি একথা জানান।

সিদ্দিক মো. জুলফিকার আহমেদ বলেন, ’২২-তলা এই বিল্ডিংয়ে ফায়ার ফাইটিংয়ের নিজস্ব কোনও ক্যাপাসিটি নেই। বিল্ডিংগুলোতে যতদিন পর্যন্ত আগুন নির্বাপণের নিজস্ব সক্ষমতা না থাকবে, ততদিন এধরনের দুর্ঘটনা ঘটতেই থাকবে। আর এসব ঘটনায় হতাহতের সংখ্যাও বাড়তেই থাকবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভেতরে টেম্পারেচার হাই হওয়ার কারণে কিছু জায়গায় আগুন জ্বলছে। আমাদের ইউনিটগুলো পানি ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। আমাদের রেসকিউ টিম সার্চ করার জন্য প্রতিটি ফ্লোরে যাচ্ছে। ভেতরে কেউ হতাহত থেকে থাকলে তাদের উদ্ধার করা যাবে। এপর্যন্ত ৬৮ জন আহত পেয়েছি। পাঁচজনের ডেডবডি পাওয়া গেছে। শেষপর্যায়ে আমরা হতাহতের সঠিক সংখ্যা বলতে পারবো।’

তিনি বলেন, ‘ডেডবডিগুলো হাসপাতালে ডিটেক্ট করা হয়েছে। সংখ্যাটা বাড়তে পারে। ডিটেইলস সার্চিংয়ের জন্য আমাদের টিম প্রবেশ করেছে।’

ফায়ার সার্ভিস পরিচালক বলেন, ‘৫-৭টি ফ্লোর আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ৯-১০তলা থেকে শুরু করে উপরে দিকের ফ্লোরগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে বলা যাবে না।’

তিনি বলেন, ‘কী কারণে আগুন লেগেছে তা এখনই নিশ্চিতভাবে বলা যাবে না। তবে একটুকু বলতে পারি, এ ধরনের বিল্ডিংয়ে সাধারণত ইলেক্ট্রিসিটি থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। ভবন তৈরির সময় ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড না মেনে তৈরি করা হয়। যে কারণে এমন দুর্ঘটনা ঘটছে।’

সিদ্দিক মো. জুলফিকার আহমেদ বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা আগুন লাগার কারণ এবং করণীয় সম্পর্কে সুপারিশ করবো। এ ধরনের অবহেলা ও অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সময় এসেছে। আর ছাড় দেওয়া যাবে না।’

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে ২১-তলা বনানীর এফ আর টাওয়ারের নয়তলায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করছে। পাশাপাশি সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী, নৌবাহিনী, পুলিশ, র‍্যাব, রেড ক্রিসেন্টসহ অনেক স্বেচ্চাসেবী কাজ করেছেন।

সিদ্দিক মো. জুলফিকার আহমেদ বলেন, ‘আগুন নেভাতে যেসব ভলেন্টিয়ার কাজ করছে, তাদের আমরাই ট্রেইন-আপ করেছি।’

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/মার্চ ২৮, ২০১৯)