ভিলিয়ার্স ঝড় তবু কোহলিদের হার
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : বেপরোয়া শট খেলতে অভ্যস্ত এবি ডি ভিলিয়ার্স ক্রিজে থাকা মানেই বোলারদের বাড়তি টেনশন। সেই এবিডি যখন ক্রিজে। তখন ২৪ বলে ৪১ রান কি আহামরি কিছু? মোটেও না। আর হাতে যখন ৭টি উইকেট তখন তো জয়ের বিকল্প কিছুই থাকে না সমর্থকদের। কিন্তু বোমরাহর অসাধারণ বোলিংয়ে সব স্বপ্ন ভেস্তে গেছে কোহলিদের।
শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ৬ রানে হেরেছে ভিলিয়ার্স-কোহলিদের দল রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৭ রান। লাথিস মালিঙ্গার করা প্রথম বলে ছক্কা মেরে জয়ের আশা জাগিয়ে তুললেও শেষ পাঁচ বলে এসেছে মাত্র ৪ রান। অর্থাৎ শেষ ওভারে আসে মাত্র ১০ রান।
এবিডি ভিলিয়ার্স করেন ৪১ বলে অপরাজিত ৭০ রান। তার ইনিংসটি ছিল ৪টি চার ও ৬টি ছক্কায় সাজানো। বিরাট কোহলি করেন ৪৬ রান।
মুম্বাইয়ের পক্ষে বোমরাহ চার ওভারে ৩৩ রান দিয়ে তুলে নেন ৩টি মূল্যবান উইকেট। মূলত তার নৈপুণ্যেই জিতেছে রোহিত শর্মারা। ম্যান অব দ্যা ম্যাচ বোমরাহ।
বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) আইপিএলের সপ্তম ম্যাচে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় কোহলির নেতৃত্বাধীন রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু।
রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরের অধিনায়ক বিরাট কোহলি টস জিতে আগে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন মূলত পিচ দেখে। এছাড়া তিনি তার একাদশে কোনো পরিবর্তনও আনেননি। মুম্বাইও তাদের প্রথম ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের কাছে ৩৭ রানে হেরে যায়।
একমাত্র যুবরাজ সিং ছাড়া কেউই উল্লেখযোগ্য রান করতে পারেননি। তাই আজ তাদের দলে দুটি পরিবর্তন এনেছিল। চূড়ান্ত একাদশে নতুন দুই খেলোয়াড় অন্তর্ভুক্ত হন। একজন লংকান পেসার লাথিস মালিঙ্গা ও অন্যজন লেগস্পিনার মারকান্ডে। যার ফলে আগের ম্যাচে খেলা ইংলিশ ক্রিকেটার বেন কাটিং ও কাশ্মীর তরুণ রাসিখ সালাম বাদ পড়েন।
টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে রোহিতের ৪৮ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে মুম্বাই ১৮৭ রান সংগ্রহ করে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
১৮৮ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮১ রান করতে সমর্থ হয় ব্যাঙ্গালুরু।
আজ শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টায় সানরাইজার্স হায়দারাবাদ বনাম রাজেস্থান রয়্যেলসের ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/মার্চ ২৯,২০১৯)