দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বনানী এফ আর টাওয়ারের ৮ম তলার দক্ষিন পাশে সিএনএফ নামের একটি অফিসে চাকরি করতেন জিলানি। ভবন পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, অফিসের আসবাব-পত্র থেকে শুরু করে কিছুই পোড়ার বাকি নেই। কাঁচ ভেঙে নিচে ছাইয়ের সঙ্গে মিশে আছে, পা ফেলার উপায় নেই। সঙ্গে নিয়ে আসার মতো কিছুই পাইনি।

অগ্নিকাণ্ডের সময় অফিসে ছিলেন জানিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের ভবনের নিচে আগুন লেগেছে। হঠাৎ করে ধোঁয়া উপরের দিকে উঠতে দেখে দ্রুত আমি ছাদে উঠে যাই। সে সময় অফিসে ২৫-৩০ জন কর্মী ছিলেন, তাদের অনেকেই হতাহত হয়েছেন। তবে নির্ধারিত করে নামগুলো বলতে পারছি না।

এফ আর টাওয়ারের বিভিন্ন অফিস থেকে উদ্ধার হওয়া টাকাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মালামাল মালিকদের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।

পরিদর্শন দলে ছিলেন ডার্ড গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরাফাত হোসেন। তিনি বলেন, আমাদের খুব একটা ক্ষতি হয়নি, শুধু বাইরের গ্লাসগুলো কালো হয়ে গেছে।

ডার্ড গ্রুপের কর্মকর্তা শামীম আহমেদ জানান, ভবনের ১২, ১৩, ১৬ ও ১৯ তলায় তাদের অফিস ছিল। আমাদের অফিসের আসবাব আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হলেও টাকা-পয়সা মূল্যবান জিনিসপত্র পেয়েছি। দেখতে দেখতে ২১ তলাতে গিয়ে রক্তের দাগ দেখেছি।

উপরের দিকের অফিসগুলোর ভেতরে আগুন যায়নি, কিন্তু জিনিসপত্র ছড়ানো ছিটানো। পানির বোতল-জুতা এদিক-সেদিক ছড়িয়ে আছে। এ থেকে বুঝা যায় মানুষগুলো বাঁচার জন্য ছটফট করছিলো।

তিনি আরও জানান, ভবনটির ৭ম তলা থেকে ১১ তলার পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বিশেষ করে ৭ম তলা থেকে ১০ম তলা পর্যন্ত প্রায় সবকিছুই পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

এরআগে শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে পুলিশের নেতৃত্বে ১৯টি টিম ভবনটিতে প্রবেশ করে। ৯ জন করে পুলিশ সদস্য, ফায়ার সার্ভিসের সদস্য, প্রতি ফ্লোরের মালিকদের দুই জন প্রতিনিধি, প্রতিটি অফিসের দুই জন করে প্রতিনিধি ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি মিলিয়ে প্রতি টিমে মোট ১৫ জনের মতো সদস্য ছিল।

ভবনটির বিভিন্ন অফিসে কোনো মূল্যবান মালামাল থাকলে সেগুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষ বা মালিকদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়াই এই অভিযানের উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।এছাড়াও ভবনের সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনা করা হবে।

এর আগে ভবনটি পুলিশের তত্ত্বাবধানে হস্তান্তর করে ফায়ার সার্ভিস।

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/মার্চ ২৯,২০১৯)