সোহেল রহমান, দিরিপোর্ট২৪ : স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে সত্তরের দশকের একটি সিনেমার জনপ্রিয় গানের লাইন ছিল ‘নাচ আমার ময়না তুই পয়সা পাবিরে….।’ তারপর পেরিয়েছে অনেকগুলো দশক। সেই পয়সার সঙ্গে পরিচয় নেই বর্তমান নতুন প্রজন্মের অনেকেরই। ‘কয়েন’ বলতে হরহামেশা তারা যেটা দেখছে সেটা মূলত টাকার ধাতব সংস্করণ।

দীর্ঘদিন ধরেই অভ্যন্তরীণ মুদ্রা বাজারে মূল্যহীন হয়ে পড়েছে এ পয়সা। ক্রমাগত জীবনযাত্রার ব্যয় ও দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়ার কারণে পয়সা এখন অচল। হারিয়ে গেছে মুদ্রা বাজার থেকে। কালে-ভদ্রে দুই-একটি পয়সা কারো হাতে এলেও সেগুলো এখন আর কেউ নিতে চায় না। এমনকি বাস কন্ডাক্টর এবং ভিক্ষুকও পয়সা দেখলে নাক সিটকায়।

বেশ কিছুদিন আগে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি প্রসঙ্গে একবার এক ঘরোয়া আলাপে দেশের একজন অর্থনীতিবিদ বলেছিলেন, ‘পয়সা এখন যাদুঘরে রাখার সময় এসে গেছে। দেশের সাধারণ মানুষের কাছে এর আর্থিক মূল্য তেমন না থাকলেও সংগ্রাহকদের কাছে এর একটা অ্যান্টিক ভ্যালু হয়তো থাকবে।’

স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে এক পয়সা, পাঁচ পয়সা, দশ পয়সা, পঁচিশ পয়সা ও পঞ্চাশ পয়সা ইত্যাদি বিভিন্ন মানের মুদ্রা প্রচলিত ছিল। কিন্তু কালক্রমে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি ও দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়ার কারণে এগুলোর ব্যবহার ক্রমশ কমতে থাকে।

আর পয়সার ব্যবহার কমে আসায় চলতি সময়ে নতুন করে বাজারে পয়সার সরবরাহও বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এর পরিবর্তে এক টাকা সমমানের ধাতব মুদ্রা বাজারে ছাড়া হয়। বর্তমানে এক টাকা, দুই টাকা ও পাঁচ টাকার সমমানের ধাতব মুদ্রা বাজারে চালু রয়েছে।

(দিরিপোর্ট২৪/এসআর/এআইএম/এমডি/নভেম্বর ০৯, ২০১৩)