সুদের হার কমাতে বললেন প্রধানমন্ত্রী
![](https://bangla.thereport24.com/article_images/2019/04/01/a4dcd46908b988ebd8e57fa83877c646-587a71b16eb92.jpg)
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ব্যাংক মালিকদের সুদের হার কমিয়ে এক অংকে আনার জন্য আবারও আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে ব্যবসায়ীদেরকে সময়মতো ঋণ ও এর সুদ পরিশোধের অনুরোধ করেছেন তিনি।
রোববার প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) জাতীয় শিল্প মেলা-২০১৯ এর উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন,ব্যাংক ঋণের সুদ হার এক অংকে নামিয়ে আনার জন্য আমরা ব্যাংক মালিকদের তাদের আকাঙ্খা অনুযায়ী কিছু সুযোগ সুবিধা দিয়েছি। কিন্তু সব ব্যাংক নয়, মাত্র কয়েকটি ব্যাংক সুদের হার ৯ শতাংশে কমিয়ে এনেছে।
তিনি বলেন, ইতোপূর্বে সরকার তার ৭০ ভাগ টাকা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোতে রাখতো এবং ৩০ ভাগ টাকা রাখতো বেসরকারি ব্যাংকে। কিন্তু বর্তমানে উভয় ধরনের ব্যাংকেই সমহারে সরকারি টাকা রাখা হয়। তথাপি ব্যাংক মালিকরা সুদের হার কমায়নি বরং শিল্প স্থাপন করে তারা ব্যবসা পরিচালনা করছে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, সরকার বরং দেখতে পারে ব্যাংক মালিকরা যথাযথ নিয়মে ভ্যাট ও শুল্ক প্রদান এবং কাঁচা মাল কিনছে কিনা।
শিল্পায়নের ক্ষেত্রে ব্যাংক ঋণ প্রধান বাধা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এক সময় ব্যাংকের সুদের হার এক অংকে ছিল। কিন্তু বর্তমানে তা ১৪, ১৫ অথবা ১৬ শতাংশে পৌঁছেছে।
প্রধানমন্ত্রী ব্যাংক সুদের হার এ ধরনের উচ্চ পর্যায়ে পৌঁছার জন্য আইএমএফকে (ইন্টারন্যাশনাল মনিটরি ফান্ড) দায়ী করেন। কারণ, ওই প্রতিষ্ঠানটি প্রেসক্রিপশনের পর সরকার ক্যাপ পদ্ধতি (কম-বেশি সুদ হার বেধে দেয়া) প্রত্যাহার করতে বাধ্য হয়। শেখ হাসিনা ব্যবসায়ীদেও সময়মত ঋণ ও এর সুদ পরিশোধের আহ্বান জানান।
শিল্প মন্ত্রণালয় নগরীর বিআইসিসি’তে সপ্তাহব্যাপী ‘জাতীয় শিল্প মেলা-২০১৯ এর আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন এমপি। স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিল্প সচিব মো. আবদুল হালিম।
এতে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার ও ফেডারেমন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই)-এর সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন।
মেলায় ৩শ’ প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়ে দেশে তৈরি পাটপণ্য, খাদ্য, কৃষি পণ্য, চামড়াজাত সামগ্রী, ইলেক্ট্রিক ও ইলেক্ট্রোনিক পণ্য, প্লাস্টিক সামগ্রী এবং হস্তশিল্প পণ্য প্রদর্শন করে।
(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/এপ্রিল ০১, ২০১৯)