দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে পুঁজিবাজারের বিকাশের লক্ষ্যে শতভাগ কর অব্যাহতি চেয়েছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। প্রতিষ্ঠানটি মনে করে এই সুযোগ দেয়া না হলে দেশের শিল্পায়ন বিকাশে বাধাগ্রস্থ হবে।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ডিএসইর নেতৃবৃন্দ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) এ প্রস্তাব দিয়েছেন। এসময় এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূইয়া, ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক কেএএম মাজেদুর রহমান, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) মতিন পাটোয়ারিসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

ডিএসইর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বর্তমানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) পরিচালন ক্ষতির সম্মুখীন। এমতাবস্থায় এক্সচেঞ্জের আয়ের উপর যদি কর আরোপ করা হয়, সেক্ষেত্রে এক্সচেঞ্জের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার স্বার্থে লেনদেন ফি’র হার বাড়াতে হবে। যা প্রকারান্তে সাধারণ বিনিয়োগকারীর উপরই বর্তাবে। ফলে পুঁজিবাজারের উপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। যা শিল্প ও বাণিজ্যিক উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করবে। এ সমস্যারোধে শতভাগ কর রেয়াত সুবিধা চেয়েছে ডিএসই।

ডিমিউচ্যুয়ালাইজেশন (ব্যবস্থাপনা থেকে মালিকানা পৃথক করা) হওয়ার পর সরকার ২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে ৫ বছর স্টক এক্সচেঞ্জকে বিশেষ কর ছাড় সুবিধা দেয়। ক্রমহ্রাসমান হারে দেয়া এই কর ছাড়ার কারণে ২০১৪-১৫ ও ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ডিএসইকে কর দিতে হয়নি। আর ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৬০ শতাংশ, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৪০ শতাংশ এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২০ শতাংশ কর ছাড় পায় প্রতিষ্ঠানটি। তবে এই ৩ অর্থবছরে শতভাগ কর মওকুফের সুবিধা দেওয়ার জন্য আজকে প্রস্তাব করা হয়েছে।

এদিন পুঁজিবাজারের স্বার্থে আরও কয়েকটি প্রস্তাব করে ডিএসই কর্তৃপক্ষ। অন্য প্রস্তাবগুলোর মধ্যে লভ্যাংশ আয়ের করমুক্ত সীমা ২৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত করার জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্যদের কাছ থেকে উৎসে আয়কর হার ০.০৫ শতাংশ থেকে পূর্বের ০.০১৫ শতাংশ নির্ধারন করার প্রস্তাব করা, আইপিওতে ২০ শতাংশ শেয়ার ইস্যু করা কোম্পানিকে ১ বছরের পরিবর্তে ৩ বছর ১০ শতাংশ হারে কর রেয়াত সুবিধা দিতে বলা হয়েছে।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/এপ্রিল ০২, ২০১৯)