এসপি হারুনের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জে মহড়া
পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে নারায়ণগঞ্জে মহড়া
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার পাগলায় মেরি এন্ডারসনে মদ ও বিয়ার উদ্ধারের ঘটনায় ক্রীড়া সংগঠক ও ব্যবসায়ী তানভীর আহমেদ টিটুকে জড়ানোর প্রতিবাদে সভা করেছেন ৯টি জাতীয়ভিত্তিক ব্যবসায়ী সংগঠন এবং ৩৩টি স্থানীয় ব্যবসায়ী ও শ্রমিক সংগঠনের নেতারা।
বুধবার বিকালে শেষ হলে ব্যবসায়ীরা এই প্রতিবাদ সভা করেন। এ আগে মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন ব্যবসায়ীরা।
এদিকে বুধবার বিকালে হঠাৎ করেই জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ বিপুলসংখ্যক পুলিশ, জলকামান ও কয়েকশ’ পুলিশ সদস্যদের নিয়ে শহরে মহড়া দিয়েছেন। পুলিশ সুপারের এই মহড়া চলাকালীন সময় শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করে।
জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ সভাতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিলেও শবেমেরাজ ও বৃহস্পতিবারের কারণে কর্মসূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে। রোববার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দেয়া হবে। তার পরেও কাজ না হলে কঠোর আন্দোলন করা হবে।
নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি খালেদ হায়দার কাজল বলেন, তানভীর আহমেদ টিটুকে মাদকের সঙ্গে সম্পৃক্ত করায় আমরা ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছিলাম। কিন্তু শবেমেরাজ ও সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকায় আমরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী রোববার নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেব।
তিনি বলেন, আমরা ব্যবসায়ীরা শান্তিতে থাকতে চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে কাজ করতে চাই। আমরা ব্যবসায়ীরা নারায়ণগঞ্জে চাঁদা ছাড়া ব্যবসা করি। এখানে কোনো চাঁদা দিতে হয় না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সভাপতি মো. সোলায়মান, নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আরিফ আলম দিপু, বাংলাদেশ হোসিয়ারি অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি কবীর হোসেন, পাট আড়তদার মালিক সমিতির সভাপতি ফয়েজ উদ্দিন লাভলু, বিকেএমইএর সহসভাপতি (অর্থ) হুমায়ুন কবির শিল্পী, নিটিং ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সেলিম সারোয়ার, বিসিক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবু তাহের শামীম ও জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি মতিউল্লাহ মিঠুসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা।
এদিকে দুপুর থেকেই শহরের চাষাঢ়ায় পুলিশের সাঁজোয়া যান, জলকামানসহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তবে পুলিশের এই রণপ্রস্তুতি কেন, সে ব্যাপারে কোনো কর্মকর্তাই গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে কিছু জানাননি। পুলিশ সুপার রাস্তায় নামবেন এ ব্যাপারেও আগে থেকে কাউকে কিছু জানানো হয়নি।
বিকালে পুলিশ সুপার তার বিশাল বাহিনী নিয়ে শহরের দুটি প্রধান সড়ক বঙ্গবন্ধু সড়ক ও নবাব সিরাজউদ্দৌলা সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। হেঁটে সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে চাষাঢ়ায় আসেন।
তবে মহড়া শেষে চাষাঢ়ার চত্বরে এসে পুলিশ সুপার হারুন অর রশিদ গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘এটা আমার নিয়মিত ডিউটি। প্রায়শই আমি এ ধরনের ডিউটি পালন করি। এটা নতুন কিছু না।’
(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/এপ্রিল ০৩,২০১৯)