ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে নিষিদ্ধ লঙ্কান ক্রিকেটার
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে দিন অতিবাহিত করছে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ফিক্সিং কেলেঙ্কারি। যার দরুন নিষিদ্ধ হয়েছেন জাতীয় দলের হয়ে খেলা ৩৮ বছর বয়সী ক্রিকেটার দিলহারা লুকুহেতিগে।
তবে দিলহারাকে সাময়িক নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার বা শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত কোনো ধরনের ক্রিকেটীয় কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না তিনি।
দিলহারার নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে এক বিজ্ঞপ্তিতে আইসিসি জানিয়েছে দিলহারা লুকুহেতিগের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। এছাড়াও আইসিসি কোড পেন্ডিং ডিটারমিনেশনের জন্য লুকুহেতিগের প্রোভিশনালি সাসপেনশন চার্জ দেওয়া হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো ফিক্সিংয়ের ব্যাপারে আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগ আকসুকে যথাযথ তথ্যাদি সরবরাহ করেননি তিনি। এছাড়া আকসুর বিভিন্ন প্রশ্নের সদুত্তরও দিতে পারেননি তিনি। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে আগামী ১৪ দিনের মধ্যে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তা না হলে বড় ধরণের শাস্তি পাবেন বলেও আকসু জানিয়ে দিয়েছে। এমনকি আজীবনের জন্য সব ধরণের ক্রিকেট থেকেও নিষিদ্ধ হতে পারেন।
গত নভেম্বরে তার বিরুদ্ধে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ তুলেছিল ইসিবি। লঙ্কান ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ আগেও উঠেছে। ২০১৭ সালে হওয়া টি-টেন লিগেও একই কাজ করছিলেন তিনি। সেই ঘটনার পর আরব আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় দিলহারা লুকুহেতিগেকে সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করে আইসিসি। তবে আকসু এটা জানায়নি ঠিক একই টুর্নামেন্টের জন্য এই অভিযোগ আনা হয়েছে কিনা।
অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ীভাবে বাস করা এই ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনেক আগে থেকে। ২০১৮ সালের মে মাসে আল জাজিরা ফিক্সিং সংক্রান্ত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রচার করলে। সেখানে দেখা যায় ফিক্সিং নিয়ে তিনি কথা বলছেন।
এছাড়া ফিক্সিংয়ের অপরাধে অভিযুক্ত হওয়া শ্রীলঙ্কার তিন ক্রিকেটারের একজন হচ্ছেন লোকুহেটিগ। তার সঙ্গে বাকি দুজন হচ্ছে প্রাক্তন পেসার নুয়ান জয়সা ও অলরাউন্ডার সনাৎ জয়াসুরিয়া। ফেব্রুয়ারিতে এ অপরাধের জন্য জয়াসুরিয়াকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
১৯৮০ সালে শ্রীলঙ্কার কলম্বোয় জন্ম নেওয়া এই ক্রিকেটার ২০০৫ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত জাতীয় দলের জার্সিতে খেলেছেন ৯টি ওয়ানডে ও ২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। এই অলরাউন্ডার অবশ্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। ফলে শ্রীলঙ্কা দলে নিয়মিত হতে পারেননি তিনি। জাতীয় দলে সুযোগ না পেলেও খেলে যাচ্ছিলেন ঘরোয়া ক্রিকেট। ২০১৬ সালের পর অবশ্য নিজ দেশের ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা হয়নি তার, তবে খেলোয়াড় সত্তাকে বিদায় জানিয়েই আগ্রহ ছিল বিভিন্ন বিদেশি লিগে।
(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/এপ্রিল ০৫, ২০১৯)