পদ্মাসেতুর দেড় কিলোমিটার দৃশ্যমান
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি : পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের ১৩ ও ১৪নং পিয়ারের ওপর দশম স্প্যানটি (সুপার স্ট্রাকচার) বসানো হয়েছে।
বুধবার (১০ এপ্রিল) বেলা পৌনে ১টার দিকে স্প্যানটি বসানো হয়। এর মধ্য দিয়ে সেতু এখন ১৫শ মিটার দৈর্ঘ্যে রূপ নিয়েছে। সেই সঙ্গে দেড় কিলোমিটার দৃশ্যমান হলো পদ্মা সেতু।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পদ্মা সেতুর প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির বলেন, সকাল ৯টার দিকে ১৩ ও ১৪নং পিয়ারের সামনে চলে আসে স্প্যানটি। পরে স্প্যানবাহী জাহাজটি যথাযথ স্থানে নোঙর করা হয়। দুপুরে স্প্যানটি বসানো হয়। ১৩ ও ১৪নং পিয়ারের ওপর স্প্যানটি বসানোর মাধ্যমে পদ্মা সেতুর দেড় কিলোমিটার দৃশ্যমান হলো আজ।
এদিকে, বাকি স্প্যানগুলো জাজিরা প্রান্তে বাসানো হয়েছে। জাজিরা প্রান্তে পদ্মা সেতুর ১২০০ কিলোমিটার দৃশ্যমান হয়েছে। এর আগে মাওয়া প্রান্তে একটি স্প্যান (১-এফ) ৪ ও ৫ নম্বর পিয়ারে অস্থায়ীভাবে রাখা হয়। সেটি ৬ ও ৭নং পিলারের ওপর বসানো হবে।
নতুন নকশা অনুযায়ী পদ্মা সেতু প্রকল্পের মূল সেতুতে মোট ২৯৪টি পাইল রাখা হয়েছে। এরই মধ্যে ২৪৭টি পাইল বসানোর কাজ শেষ হয়েছে। বাকি ৪৭টি পাইলের মধ্যে ১৫টি পাইলের অর্ধেক বসানো হয়ে গেছে। ২৯৪টি পাইলে থাকবে মোট ৪২টি খুঁটি। এসব খুঁটির ওপরে ৪১টি স্প্যান বসানো হবে। ৪২টি খুঁটির মধ্যে ২২টি খুঁটির নির্মাণ পুরোপুরি হয়ে গেছে। চলতি জুন মাসের মধ্যে ১০টি খুঁটির নির্মাণকাজ শেষ হয়ে যাবে।
২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮নং পিয়ারে প্রথম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। ২২ মার্চ পদ্মা সেতুর ৩৫ ও ৩৪ নম্বর পিয়ারের ওপর সবশেষ নবম স্প্যানটি বসানো হয়। ওই দিন ১৩৫০ মিটারের সেতু দৃশ্যমান হয়।
আগামী ২০ এপ্রিল জাজিরায় ৩৩ ও ৩৪নং পিয়ারের ওপর আরও একটি স্প্যান বসানো হতে পারে। এপ্রিলের শেষ দিকে আরেকটি স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।
২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ৩৭ ও ৩৮নং খুঁটিতে প্রথম স্প্যানটি বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পদ্মা সেতু। এরপর ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি ৩৮ ও ৩৯নং খুঁটিতে বসানো হয় দ্বিতীয় স্প্যান। গত বছরের ১১ মার্চ ৩৯ ও ৪০নং খুঁটির ওপর বসে তৃতীয় স্প্যান। ১৩ মে ৪০ ও ৪১নং খুঁটির ওপর চতুর্থ স্প্যান বসানো হয়। সবশেষ ২৯ জুন সেতুর পঞ্চম স্প্যান বসানো হয়েছে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা এলাকায়। জাজিরা প্রান্তের তীরের দিকের এটিই শেষ স্প্যান। এর মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর ৭৫০ মিটার দৃশ্যমান হয়।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/এপ্রিল ১০, ২০১৯)