দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় তিন বছর জেল খাটা নিরীহ জাহালমকে দেখতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। ‘ভুল আসামি’ হয়ে তিন বছর জেল খাটার পর টাঙ্গাইলের নাগরপুরের ডুমুরিয়া গ্রামের জাহালম হাইকোর্টের আদেশে গত ৪ ফেব্রুয়ারি জামিনে মুক্তি পান।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী অমিত দাশগুপ্ত।

জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর কেমন আছেন এবং কিভাবে জীবন-যাপন করছেন সে বিষয়ে জানতে তাকে আগামী বুধবার (১৭ এপ্রিল) আবারও হাজির হতে বলেছেন আদালত।

জাহালমের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার নথি তলবের বিষয়ে শুনানি নিয়ে বুধবার (১০ এপ্রিল) হাইকোর্টের বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে জাহালমের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী অমিত দাশগুপ্ত। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

২৬ মামলায় ‘ভুল’আসামি জেলে থাকার অভিযোগের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি ও মামলার বাদীসহ চারজনকে গত ২৮ জানুয়ারি তলব করেছিলেন হাইকোর্ট। দুদক চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি, মামলার বাদী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিবের একজন প্রতিনিধি ও আইন মন্ত্রণালয় সচিবের একজন প্রতিনিধিকে উপস্থিত থেকে এ ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।

একটি জাতীয় দৈনিকে ‘৩৩ মামলায় ‘ভুল’ আসামি জেলে ‘স্যার, আমি জাহালম, সালেক না’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অমিত দাশগুপ্ত। ওই প্রতিবেদনটি আদালতে উপস্থাপনের পর স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ আদেশে দেন হাইকোর্ট।

পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আবু সালেক নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংকের প্রায় সাড়ে ১৮ কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগে ৩৩টি মামলা হয়েছে। কিন্তু আবু সালেকের বদলে জেল খাটছেন, আদালতে হাজিরা দিয়ে চলেছেন জাহালম। তিনি পেশায় পাটকলশ্রমিক।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/এপ্রিল ১০, ২০১৯)