শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক পতন: বিনিয়োগকারীদের বিক্ষোভ অব্যাহত
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্ট দায়িত্বের অবহেলা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ সমস্ত শেয়ারহোল্ডারদের সাথে প্রতারণা করছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। যার মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতি ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এরকম চলতে থাকলে শেয়ারবাজারে ২০১০ এর মত আরেকটা বড় ধসের সম্মুখীন হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজান-উর-রশিদ। ।
শেয়ারবাজারের ধারাবাহিক পতনের প্রতিবাদে বুধবার (১০ এপ্রিল) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে তিনি এমন মন্তব্য করেনে। গত তিন দিন ধরে সংগঠনটির ব্যানারে এই মানববন্ধন করা হচ্ছে।
মিজান-উর-রশিদ বলেন, 'গতকাল বিএসইসি'র সাথে ডিএসই, আইিসিবি'র মিটিং হয়েছে। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় মিটিংয়ে যে সব দাবি তুলা হয়েছে একটা দাবিও বাজারকে তার লক্ষ্যমাত্রায় নিয়ে যাওয়ার জন্য নয়।' এসময় ঢাকা ব্রোকার্স এ্যাসোসিয়েশনের (ডিবিএ) সভাপতি শাকিল রিজভিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, 'অনেক দিন ধরে বাজার নিয়ে আপনি খেলা করছেন। এই খেলা বন্ধ করেন।'
তিনি বলেন, শেয়ারবাজারকে তার অভীষ্ট লক্ষে নিয়ে যাওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খায়রুল হোসেনকে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি'র চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি সেই দায়িত্বের অবহেলা করে নিজের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য ইস্যুয়ার কোম্পানির দালালী করছেন। যার প্রভাবে পুরো বাজার আজ ধংসের মুখে।
বাজারের স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য আইপিও ও প্লেসমেন্ট শেয়ারের অবৈধ বাণিজ্য বন্ধের জন্য বিএসইসি'র কাছে আহ্বান জানান মিজান-উর-রশিদ।
মানববন্ধনে এক সাধারন বিনিয়োগকারী বলেন, শেয়ারবাজার পরিচালনের জন্য যেরকম দক্ষ মনিটরিং পৃথিবীর অন্যান্য দেশে রয়েছে তার তুলনায় বাংলাদেশে অনেক ঘাটতি রয়েছে। এ দেশের শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি'রচেয়ারম্যান দুর্নীতির সাথে জড়িত। এখানে শুধুমাত্র কাগজপত্র দেখে টাকার বিনিময়ে আইপিওর অনুমোদন দিয়ে দেওয়া হয়। যেখানে উচিত সরেজমিনে তদন্ত করে অনুমোদন দেওয়া।
তিনি আরও বলেন, দেশের অর্থনীতি এবং জনগনের জন্য শেয়ারবাজারকে শক্তিশালী করতে এখন প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। আমরা দেখেছি প্রধানমন্ত্রী যেখানে হস্তক্ষেপ করেন সেখানেই অবস্থার উন্নতি হয়। তাই আমরা বিনিয়োগকারীরা বাজারের উন্নতিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি জানাচ্ছি।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/এপ্রিল ১০, ২০১৯)